জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুসরণ করে বেশ কিছু সরকারি, বেসরকারি এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চার বছর মেয়াদকালের স্নাতক প্রোগ্রাম গ্রহণ করেছে। ইউজিসি চেয়ারম্যান এম জগদীশ কুমার রাজ্যের শিক্ষার ক্ষেত্রে এনইপি লাগু করার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ক্লাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে মহারাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ১.৫১ লক্ষেরও বেশি গ্র্যাজুয়েট, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রী স্নাতক ডিগ্রি পাস করেছেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল রমেশ বাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং ছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এম জগদীশ কুমার মুম্বইয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, দেশের প্রায় ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে চার বছর মেয়াদি স্নাতক প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন আছে, তেমনই কেন্দ্রীয় এবং কিছু রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কিছু রাজ্য তাদের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে চার বছর মেয়াদি স্নাতক প্রোগ্রাম শুরু করতে বলেছে, তবে এটি দেশের সমস্ত রাজ্যে এখনও লাগু হয়নি।ইউজিসি চেয়ারম্যান বুধবার মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হয়ে। এম জগদীশ কুমার বলেন, মহারাষ্ট্র বিভিন্ন দিক থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে নেতৃত্বদায়ী ভূমিকা নিচ্ছে। ক্লাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতেও এগিয়ে আছে মহারাষ্ট্র। জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি’র চেয়ারম্যান। এই বছর মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১.৫১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী স্নাতক হয়ে ডিগ্রি লাভ করেছে। এই শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫৩ শতাংশই মেয়ে। মহামারীর দুই বছর বাদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়া ছাত্রীদের সংখ্যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছাত্রছাত্রী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকলেই।প্রসঙ্গত অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ইউজিসি ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমেছে মাত্রাতিরিক্ত। উচ্চশিক্ষা খাতে ৪৭ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিকে গতবছর যখন ইউজিসির বরাদ্দ ছিল ৫৩৬০ কোটি টাকা, এবছর তা ৫৩ শতাংশ কমে ২৫০০ কোটি টাকা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বরাদ্দ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আইআইএম প্রতিষ্ঠানগুলির বাজেটে ব্যাপক কাটছাঁট হয়েছে। ৬০০ কোটি থেকে একধাক্কায় বরাদ্দ কমে হয়েছে ২১২ কোটি টাকা।