অবস্থা আগেই খারাপ ছিল। করোনা আর লক ডাউনের জেরে দেশজুড়ে চাকরির অবস্থা আরও শোচনীয়। এরই মধ্যে সরকারি চাকরি মানে হাতে চাঁদ পাওয়া। আর এই সৌভাগ্যের অংশীদার হতেই অষ্টম শ্রেণি পাশ যোগ্যতায় ফরেস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর চাকরিতে আবেদন করেছেন বহু গবেষক, স্নাতকোতꦡ্তর ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। এমন ঘটনা খাস পশ্চিমবঙ্গের।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও মানুষের সঙ্গে পশুর সংঘাত রুখতে বন সহায়ক বা ফরেস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ২০০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মী🔴 নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। আর এই পদেই বহু উচ্চশিক্ষিত প্রার্থী আবেদন করেছেন এবং প্রার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁদের এই নিয়ে কোনও সংকোচ নেই। এমনই তথ্য জানিয়েছেন মালদহ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার সুবীর কুমার গুহ নিয়োগী ।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন স্নাতকোত্তর পাশ ব্যাক্তি🔜, তেমনই আছেন পি এইচডি স্কলাররা।
আবেদনকারীদের মধ্যে এমনই একজন সুদীপ মৈত্র। তিনি ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পাশ। তিনি বলেন. চুক্তিভিত্তিক হলেও তা সরকারি চাকরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকরির বাজার খুব খারাপ। বহু মানুষ ꩵকাজ হারিয়েছেন, বহু সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রেও নিয়োগ বন্ধ। এই সব বিবেচনা করেই তিনি এই চাকরিতে আবেদন করেছেন।
আর এক প্রার্থী রক্তিম চন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি অর্থনীতিতে MSc। কিন্তু বর্তমান আর্থিক মন্দার 🌠বাজারে🍃 কিছু না-করার থেকে সামান্য বেতনের সরকারি মাস-মাইনের চাকরি ঢের ভালো।
এই পদটিতে আবেদনকারী প্রার্থীদের বাংলা বা রাজ্যের কোনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত ভাষা পড়ার (৩০ নম্বর) এবং লেখার (৩০ নম্বর) জন্য পরীক্ষা নেওꦬয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও, ইংরাজি বা হিন্দি পড়ার দক্ষতা (১০ নম্বর), সাধারণ জ্ঞান ꧟(২০), এবং বন বিভাগের কাজের জন্য শারীরিক দক্ষতার (১০) পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
বন বিভাগের এক প্রবীণ আধিকারিক জানিয়েছেন❀, ‘গবেষকদের মতো উচ্চ শিক্ষিত প্রার🌄্থীদের এত কম যোগ্যতার চাকরিতে আবেদন করলে আমরা কি করতে পারি! আমরা তাঁদের আবেদন করতে বারণও করতে পারছি না।’