কর্মরত অবস্থায় সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হলে তাঁর নিকটাত্মীয়কে চাকরি দেওয়া হয়। এ বার সেই পরীক্ষার নিয়ম কিছুটা সহজ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ডায়েড-ইন-হারনেস নামক পরীক্ষার নিয়মকানুন আগের তুলনা🍬য় সরল করা হবে। কর্মচারী সংগঠনগুলির একাংশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে কম্পিউটার পরীক্ষা হয়। সেই বিষয় সংক্রান্ত 🥂রাজ্য ‘সার্ভিস আইন’ (রিক্রুটমেন্ট টু ক্লারিক্যাল ক্যাডার) এখন সরকারের বিবেচনার অধীনে রয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট চাকরিগুলি দিতে গিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি অর্থ দফতর এই বাধা দূর করার নির্দেশ দিয়েছে।
(আরও পড়ুন: দিঘায় এবার স🌠ত্যজিৎ রায় পার্ক! গুপী-বাঘꩵার ম্যাজিক দেখা যাবে কবে? জানাল পর্ষদ)
অর্থ দফতরের কর্তাদের একাংশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেশ কিছু পরিবারের পরিস্থিতি খুব খারাপ। কারণ, তাঁদের পরিবারের সদস্য চাকুরিরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। এদিকে পরীক্ষা-বিধ🍃িতে রয়েছে নানা জটিলতা। সেই কারꦦণে নিকটাত্মীয়দের সময় মতো নিয়োগ হচ্ছে না ।
সম্প্রতি এই নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে অর্থ দফতর। তাতে জানানো হয়েছে, যোগ্য প্রার্থীদের জেলা অফিসে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদে নিয়োগ করা যাবে। শূন্যপদ কতগুলি রয়েছে তাঁর ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এই পদের জন্য শুরুতেই কম্পিউটার যোগ্যতা-পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে একটি শর্ত থাকছেই। ‘প্রবেশন’-এ থাকাকালীন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীক𒉰ে ওই 🗹পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। নেতাজি সুভাষ প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
(আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৯৯টি পানশালা ভ্রমণ! গিনি💖স বুকে নাম উঠল এই দুই বন্ধুর)
অর্থ দফতর জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই পরীক্ষায় পাশ করা না গেলে পদ স্থায়ী হবে না। এমনকী পদোন্নতিতেও বাধা হতে পারে। অন্যদিকে পরীক্ষায় পাশ করলে ♒প্রার্থীকে স্থায়ী বলে গ্রাহ্য করা হবে। নিয়মমাফিক তাঁর পদের পদোন্নতিও হবে। কর্মচারী সংগঠনগুলি সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছে, এমন পদ জেলাস্তরের বিভিন্ন দফতর এবং জেলা বা মহকুমাশাসকের দফতরে তুলনায় বেশি ফাঁকা থাকে। তবে অনেকেই মনে করছেন সরকারের নয়া নির্দেশে অনেকটাই জট কাটবে। দ্রুত চাকরি পাবেন প্রয়াতদের আত্মীয়রা।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, এই জট কাটানোর দীর্ঘদিন ▨ধরে দাবি করা হচ্ছিল। অবশেষে এত দিনে মঞ্জুর করল অর্থ দফতর। পাশাপাশি, নিয়োগের প্রশ্নে যোগ্যতার বৈষম্য নিয়েও ধন্দ ছিল। তাও অনেকটাই কাটবে বলেই আশা করা হচ্ছে।