দিনরাত এক করে পড়াশোনা করেছিলেন, চাকরি ছেড়েছিলেন ইউপিএসসির প্রস্তুতি নেবেন বলে। প্রথম প্রচেষ্ট๊ায় সাফল্য ধরা দেয়নি। অবশেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দেশের নতুন আইপিএস অফিসার হয়েছেন আদিত্য শ্রীবাস্তব। তাঁর শীর্ষে ওঠার গল্প অনুপ্রেরণাই বটে। আসলে কে এই আদিত্য শ্রীবাস্তব? আইএএস অফিসার হওয়ার জন্য ঠিক কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি?
অপেক্ষার প্রহরের সমাপ্তি। প্রকাশিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা ইউপিসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফল। শীর্ষে আদিত্য শ্রীবাস্তব। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অনিমেষ প্রধান। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ডোনুরু অনন্যা রেড্ডি। কমিশন মোট ১০১৬ জন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্ব🌳াচিত করেছে। যে প্রার্থীরা ইন্টারভিউ দিয়েছেন তাঁরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন। ফলাফল♉ পরীক্ষা করার পদক্ষেপগুলি কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে //upsc.gov.in/।
- আদিত্য শ্রীবাস্তব কে
আদিত্য শ্রীবাস্তব উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা। বরাবরই🍎 পড়াশোনায় ভালো ছিলেন আদিত্য। সিএমএস আলিগঞ্জ থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ৯৫ শতাংশ নম্বর। তিনি আইআইটি কানপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেছেন। এমনকি ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার মেইনসে আদিত্য শ্রীবাস্তবের অপশনাল বিষয় ছিল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
- আদিত্য শ্রীবাস্তব কীভাবে ইউপিএসসি-এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন
২০২৩ সালে📖র ইউপিএসসি টপার আদিত্য শ্রীবাস্তব নিজেই জানিয়েছেন যে এটি ছিল তাঁর তৃতীয় প্রচেষ্টা। ২০২০ সালে, তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর ইউপিএসসি-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। প্রথম প্রচেষ্টায়, তিনি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার সাক্ষাৎকারে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি। তারপরে ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার ইউপিএসসির জন্য চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টায় তখন তালিকায় ২৩৬ নম্বরের জায়গা করে আদিত্য আইপিএসের পদ পেয়েছিলেন। বর্তমানে হায়দরাবাদে আইপিএস প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন আদিত্য। এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাঝেই তিনি তৃতীয়বারের মতো ভাগ্য পরীক্ষা করতে ইউপিএসসিতে বসেছিলেন। আর এবারই হল বাজিমাত। পরীক্ষায় প্রথম হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আদিত্য শ্রীবাস্তব।
- আদিত্য পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন
আদিত্যর একটি ছোট বোন আছে। তিনিও দিল্লিতে সিভিল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আদিত্যর মা আভা শ্রীবাস্তব একজন গৃহিণী। বাবা, অজয় শ্র♔ীবাস্তব, ভারতের কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেলের একজন সহকা🤪রী অডিট অফিসার।
আদিত্য তাঁর শৈশব কাটিয়েছেন মাওয়াইয়া, লখনউতে। আদিত্য যখন সিভিল সার্ভিসের জন্য আইআইটির চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন, 🐲তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসের মতো কঠিন পরীক্ষার জন্য দিনরাত পড়াশোনা করেছেন আদিত্য। যার ফল হল এবার তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় টপ করলেন।
- দ্বিতীয় টপার অনিমেষ প্রধান কে
দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী অনিমেষ প্রধানয় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি এনআইটি রাউরকেলা থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি.টেক করেছেন। ইউপিএসসিতে অনিমেষ প্রধানের অপশনাল পেপার ছিল সমাজব🧸িজ্ঞান।
- ডোনুরু অনন্যা রেড্ডি কে
ডোনুরু অনন্যা রেড্ডি সিভিল সার্ভিসেস ফলাফল ২০২৩-এ তৃতীয় স্থান পেয়েছেন।ꦺ অনন্যা দিল্লি বিশ্ববিদ🤪্যালয়ের ছাত্রী।
প্রসঙ্গত, ২৮ মে সিভিল সার্ভিসের প্রিলিম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বরে প্রধান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পরে, মেইনস ফলা𝓰ফল ৮ ই ডিসেম্বর প্রকাশিত হওয়ার পর মেইনস উত্তীর্ণদের জন্য পার্সোনালিটি টেস্ট ২ জানুয়ারি থেকে ৯꧑ এপ্রিলের মধ্যে পরিচালিত হয়েছিল।