বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অল ইন্ডিয়া সার্ভে অন হায়ার এডুকেশন (এআইএসএইচ💝ই) রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে উচ্চশিক্ষায় মহিলা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব ২০২১-২২ সালে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২.০৭ কোটি এবং প্রকৃতপক্ষে, মোট সামগ্রিক তালিকাভুক্তির ৪৮% মহিলা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত এই সমীক্ষাটি সারা দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতি🎀ষ্ঠানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে, শিক্ষার্থী ভর্তি, শিক্ষকদের তথ্য, পরিকাঠামোগত এবং আর্থিক তথ্যের মতো একাধিক পরামিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে😼, বছরের পর বছর ধরে নারী ভর্তির প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে। "মহিলা তালিকাভুক্তি ২০২০-২১ সালে ২.০১ কোটি এবং ২০১৭-১৮ সালে ১.৭৪ কোটি 🍒থেকে ২০২১-২২ সালে ২.০৭ কোটিতে উন্নীত হয়েছে, অর্থাৎ ৫ বছরে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে ১৮.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সাল থেকে মহিলা নথিভুক্তি বেড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ। ২০১৪-১৫ সালে মহিলা নথিভুক্তির সংখ্যা ছিল ১,৫৭,২৩,০১৮।
২০১৪-১৫ সাল থেকে সামগ্রিক নথিভুক্তি (৯১ লক্ষ) বৃদ্ধির ৫৫% মহিলা তালিকাভুক্তির অংশ। অর্থাৎ পুরুষের তুল🌄নায় মহিলা ভর্তির হার বেশি বেড়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারপার্সন এম জগদীশ কুমার বলেছেন, এটি ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। "এটি দেখায় যে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য মহিলাদের তাদের কর্মজীবনের যাত্রায♔় তাদের নিজস্ব পথ তৈরি করতে ক্ষমতায়ন করা। লক্ষ্যযুক্ত বৃত্তি, মেয়েদের হোস্টেল এবং নমনীয় শিক্ষার বিকল্পগুলির মতো উদ্যোগগুলি নিঃসন্দেহে অন্তর্ভুক্তির এই পরিবেশ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
স্নাতক স্তরে কলা🎉 শাখায় ১.১৩ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে, যার মধ্যে ৫১% মহিলা এবং ৪৯% পুরুষ। বিজ্ঞান শাখায়, যেখানে ৪৯.১৮ লক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৫০.৮% মহিলা এবং ৪৯.২% পুরুষ। বাণিজ্য শাখায় ৪৪.০৮ লক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৪৭.২% মহিলা এবং ৫২.৮% পুরুষ শিক্ষার্থী। একই ট্রেন্ড কিছুটা হলেও স্নাতকোত্তরেও। পিএইচডিতে মোট ২.১৩ লাখের মধ্যে ৪৭ শতাংশ মহিলা। ২০১৪-১৫-এ ৪৭,৭১৭ থেকে এখন ৯৮,৬৩৬ জন রিসার্চ স্কলার আছে। অর্থাৎ সংখ্যাটি ডবলের থেকেও বেড়ে গিয়েছে এই সময়কালে। তবে এখনও ইঞ্জিনিয়ারিং ও একই ধরণের টেকনিকাল কোর্সে মহিলাদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত কম। মাত্র ২৯.১ শতাংশই সেখানে মহিলা। আগামিতে এটাই নীতি নির্ধারকদের কাꦉছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে। শুধু শিক্ষিত হলেই চলবে না, তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করতে হবে। কীভাবে চাকরিমুখী কোর্স করাতে ছাত্রীদের আরও উৎসাহিত করা যায়, সেটা দেখতে হবে কেন্দ্রকে।