রঞ্জি ট্রফির ৯০ বছরের ইতিহাসে এমনটা খুবব বেশি দেখা যায়নি। শুক্রবার মুম্বই বনাম বিহার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ঘটল তেমনই বিরল ঘটনা। যে বয়সের ক্রিকেটারকে অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬'র মতো বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে মাঠে নামানোর আগে দু'বার ভাবহে টিম ম্যানেজমন্ট, সেই বয়সে বিসিসিআইয়ের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে হাতেখড়ি💃 হল ব♑ৈভব সূর্যবংশীর।
শুক্রবার ১২ বছরের ক্রিকেটারকে মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়ে দেয় বিহার। ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যদলের হয়ে রঞ্জি অভিষেকের দিনে বাঁ-হাতি ব্যাটার বৈভবের বয়স মাত্র ১২ বছর ২৮৪ দিন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাঁ-হাতি স্পিন বোলিংও করে থাকেন সূর্যবংশী♏।
অবশ্য বৈভবের প্রকৃত বয়স নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। কেননা, গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন যে, ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ১৪ বไছর൩ে পা দেবেন। যদিও ক্রিকইনফোয় বৈভবের জন্মদিন দেখা যাচ্ছে ২৭ মার্চ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অতীতে রঞ্জি তথা ভারতের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে বৈভবের থেকেও কম বয়সে মাঠে নামার নজির রয়েছে। ১৯৪২-৪৩ মরশুমে আলিমুদ্দিন ১২ বছর ৭৩ দিন বয়সে রঞ্জি ট্রফিতে আত্মপ্রকাশ করেন। সেই মরশুমে রাজপুতানার হয়ে বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মাঠে নামেন আলিমুদ্দিন, যিনি পর🌠ে পাকিস্তানের হয়ে ২৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন।
বৈভব গত অনূর্ধ্ব-১৯ চার দলীয় টুর্নামেন্টে ভারতীয়-বি দলের হয়ে মাঠে নামেন। ৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে ২টি অর্ধশতরান-সহ ১৭৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি। বাংলাদেশের যুব দলের বিরুদ্ধে ৭৫ রান করেন বৈভব। এছাড়া ইংল্যান্ডের যুব দলের বিরুদ্ধে ২টি ম্য🏅াচে যথাক্রমে ৫৩ ও ৪১ রানের অনবদ্য ২টি ইনিংস খেলেন সূর্যবংশী। অনূর্ধ্🍰ব-১৯ দলের হয়ে এমন চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্সের পরেই বৈভবকে রঞ্জি ট্রফিতে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈভবের অভিষেক ম্যাচে চর্চায় উঠে আসে প🐲াটনার মইন-উল-হক স্টেডিয়ামে, যেখানে খেলা হচ্ছে মুম্বই বনাম বিহার রঞ্জি ম্যাচটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টেডিয়ামের গ্যালারির যে হাল সামনে আসে, তাকে সাপ-খোপের বাসা বলাও ভুল হবে না। ঝোপঝাড়ে ভরা গ্যালারির ছবি ও ভিডিয়ো সামনে আসতেই স্টেডিয়ামের দুর্দশা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেটমহলে।
ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা প্রথম দিনের চায়ের বিরতিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬❀ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৮ রান তোলে। একদা বাংলার হয়ে মাঠে নামা বীর প্রতাপ সিং ১১ ওভার বল করে ৪টি মেডেন-সহ ৩২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন।