AB de Villiers on Shamar Joseph: গাব্বা⛄তে অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে খেলা রোমাঞ্চকর টেস্ট ম্যাচে দুরন্ত পারফরমেন্স করেছিলেন শামার জোসেফ। তাঁর দৌলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৭ বছর পর একটি ঐতিহাসিক জয় নথিভুক্ত করেছিল। ২৪ বছর বয়সি ফাস্ট বোলার শামার জোসেফ তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচেই চমক দেখান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট ন🎐িয়ে ক্যাঙ্গারুদের নতজানু হতে বাধ্য করেছিলেন তিনি।
এরপরেই শামার জোসেফের কঠিন সংগ্রামের গল্প সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায়। তরুণ এই বোলার নিজের পরিবারের জন্য গত বছর নিরাপত্তারক্ষীর কাজও করেছিলেন। তার গল্প পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান এবি ডিভিলায়ဣর্সের চোখে জল চলে এসেছিল।🧸 এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় শামার জোসেফের জন্য একটি আবেগঘন নোট লিখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
সত্যিই, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই ম্যাচটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারত ছাড়া অন্য কোনও দল যদি অস্ট্রেলিয়াকে তাদের নিজেদের মাঠে হারাতে পারেনি। এবার সেটাই করে দেখাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয় বহু শতাব্দী ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রা💦ক্তন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান এবি ডিভিলায়র্স গাব্বাতে অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে খেলার দিকে নজর রাখছিলেন।
এই ম্যাচে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৪ বছর বয়সি ফাস্ট বোলার শামার জোসেফ। যিনি মিচেল স্টার্কের বলে চোট পেলেও হাল ছাড়েননি এবং বল করতে আসেন। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে ক্যাঙ্গারু দলকে উড়িয়ে দেন তিনি। এই তরুণ ফাস্ট বোলারের প্রশংসা করে এবি ডিভিলায়র্স ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘নিজেকে একটি উপকার করুন, উইকিপিডিয়ায় তার জীবন সম্পর্কে পড়ুন! ত🧔ার যাত্রা সম🔯্পর্কে পড়ে আক্ষরিক অর্থেই আমার চোখে জল চলে এসেছিল। শেষে বলতে পারি তাঁর জীবন একটা অনুপ্রেরণামূলক।’
কে শামার জোসেফ?
শামার জোসেফ ১৯৯৯ সালের ৩১ অগস্ট গায়ানার বারাকারায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে⛄র কিংবদন্তি পেসার অ্যামব্রোস এবং কোর্টনি ওয়ালশকে সামনে রেখে বড় হয়েছেন। ২০২১ সালে, তিনি বারবিসে বডিগার্ড হিসাব কাজ করছিলেন। জোসেফের আর্থিক অবস্থা এমন ছিল যে তিনি গলিত বোতল এবং ফল ক্রিকেট বল হিসাবে ব্যবহার করতেন।
টুকবার পার্ক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে কয়েকটি প্রথম-শ্রেণি এবং দ্বিতীয়-শ্রেণির ম্যাচে খেলার সময় জোসেফ প্রথম নজর কেড়েছিলেন। যাইহোক, তিনি ক্রিকেটে প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন গায়ানিস, রোমারিও শেফার্ডের মাধ্যমে, যিনি এখন তার প্রতিবেশী। জোসেফ ২০২২-২৩ ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়নশিপের সময় ১ ফেব👍্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে বার্বাডোসের বিরুদ্ধে গায়ানার হয়ে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক করেন।
গত বছর অক্টোবরে, তিনি ২০২৩-২৪ সুপার ৫০ কাপের সময় বার্বাডোসের বিরুদ্ধে গায়ানার হয়ে তার লিস্ট-এ অভিষেক করেছিলেন। গত বছরের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সময়, গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স স্কোয়াডে কিমো পলের ইনজুরির বদলি হিসেবে তাকে নাম দেওয়া হয়েছিল। তবে মরশুমে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, জোসেফ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের সিরিজ♚ের জন্য তার প্রথম টꦜেস্ট কল-আপ অর্জন করেছিলেন।
তার অভিষেকে, তিনি সরাসরি মুগ্ধ করেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটে তার প্রথম বলেই আঘাত করেছিলেন। টাইরেল জনসনের পর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার হয়েছিলেন। জানা গিয়ে🌼ছিল একটা সময়ে গা𒊎ছ কাটতে গিয়ে তিনি মারা যাচ্ছিলেন।
প্রথম টেস্ট ম্যাচ হারার পর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে এবং রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে পরাজিত করে। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেষ জয়ꩵ আসে ২০০৩ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের খরা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ২৪ বছর বয়সি ফাস্ট বোলার শামার জোসেফ। দ্বিতীয় টেস্টে মোট ৮ উইকেট নিয়ে তিনি ক্যাঙ্গারু ব্যাটিংকে খাট প্রমাণ করেন। এই কারণেই তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার ও সিরিজের সেরার পুরস্কার জেতেন।