শুভব্রত মুখার্জি:- টি-২০ বিশ্বকাপের আগে অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরেছেন ম𝐆হম্মদ আমির। বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। পাকিস্তান তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা পেসার তিনি। মাঝে দীর্ঘদিন তাঁকে থাকতে হয়েছে ২২ গজের বাইরে। স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনার কারণে প্রায় দেড় দশক তিনি ছিলেন ২২ গজের বাইরে । তবে এখনও তাঁর অতীত তাঁর পিছু ছাড়েনি। মাঝে মাঝেই ফিরে আসে তা সামনে। আলোচনা-সমালোচনা হয় বিস্তর। আর তাতেই ভীষণ হতাশ আমির। সম্প্রতি অবসর ভেঙে পাকিস্তান জাতীয় দলে ফেরার পর এবার কাতর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অনুরোধ, বারবার যেন আর টেনে না আনা হয় গড়াপেটার ঘটনা।
প♍্রসঙ্গত ২০১০ সালে ঘটেছিল এই ঘটনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে এই জঘন্য অপরাধ করেছিলেন আমির। স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা চেপেছিল তাঁর উপরে। কয়েক মাসের কারাদন্ড🐷ও হয় তাঁর। ২০১৬ সালে প্রথমবার জাতীয় দলে ফিরেছিলেন আমির। সেই সময়েও পিসিবির যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল। এখনও এক ঘটনা ঘটছে।
করাচিতে শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'ওই বড় ভুলের (গড়াপেটা) জন্য আমি শাস্তি পেয়েছি। যদি আমার কেরিয়ারের দিকে তাকান দেখবেন ২💞০১০-১৫ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিলাম। ২০২০-২৪ পর্যন্ত অবসরে ছিলাম। ফলে আমার ক্রিকেট কেরিয়ারে আমি ৯টি বছর হারিয়েছি। সব কিছুকে আমি আল্লাহর ইচ্ছা বলে মেনে নিয়েছি এবং সামনে এগিয়ে চলেছি।'
তিনি আরো বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার পরেও আমাকে এবং ইমদকে (ওয়াসিমকে) জাতীয় দলে নির্বাচন করা নিয়ে কিছু লোক সমালোচনা করেছে। তাদের বলছি পাকিস্তানের প্রধান ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্ট কোনটা? পিএসএল। আর আমরা দুজন পিএসএলে খেলেছি। এখানে ভালো পারফর্ম করেছি। পাশাপাশি অন্যান্য লিগেও নিয়মিত খেলছি। তা🐭হলে টি-২০ সংস্করণের জন্য আমাদের দলে নির্বাচন করতে দোষ কোথায়?’
আমির আরও বলেন, 'তাদের সবাইকে বলব গ🙈ড়াপেটার সাজা আমি ইতিমধ্যেই ভোগ করেছি। বারবার দয়া করে আর সেই প্রসঙ্গ তুলে আনবেন না। সব সময় বলেছি, জাতীয় দলে বিবেচনার জন্য ক্রিকেটারদের অবশ্যই ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এবং অন্যান্য টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আমাদের দুজনের (আমির, ইমদ) ক্ষেত্রে, আমরা শুধুমাত্র টি-২০ ক্রিকেট খেলছি। সেখানে কে🐭মন পারফরম্যান্স করেছি, আমাদের ফর্ম এবং ফিটনেস সবাই দেখুক।'