টিম ইন্ডিয়ার তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া গত বছর পিঠের চোট থেকে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করার পর থেকে তাঁর পারফরম্যান্সের গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখীই রয়েছে। গুজরাট টাইটান্সকে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে, দলের অভিষেকেই অধিনায়ক হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ জেতানো থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব এবং পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে ডেপুটি নেতৃত্বের ভূমিকা পর্যন্ত- হার্দিকের দায়িত্ব গত বছর থেকেই বহুগুণ বেড়েছে। বর্তমানে ভারতীয় দলের অলরাউন্ডাꦯরদের তালিকায় প্রথম নামগুলির মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন হার্দিক। এবং গত সপ্তাহে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআইয়ের সময়ে দলের চাপে তিনি ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিয়ে জ্বলে উঠেছিলেন।
ভারতের যখন ৬৬ রানে ৪ উইকেট, সেই সময়ে ছয়ে ব𝔉্যাট করতে আসেন হার্দিক। তিনি যে শুধুমাত্র একটি পাল্টা আক্রমণাত্মক নক খেলেছেন তা নয়, ইশান কিষানের সঙ্গে একটি বড় পার্টনারশিপও গড়ে তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৮৭💖 রান করে ভারতকে ২৬৬-এর প্রতিযোগিতামূলক স্কোরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে হার্দিক। বৃষ্টির কারণে যদিও খেলাটি শেষ হতে পারেনি। পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল দুই দলের মধ্যে। তা না হলে কে বলতে পারে, দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান যখন ব্যাট করতে নামত, তখন বল হাতেও হার্দিক হয়তো ঝড় তুলতেন! উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে তাঁর ইনিংস হার্দিককে সাদা বলের ফর্ম্যাটে নিম্ন-মিডল অর্ডারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলেছে। তবে ২৮ বছরের তারকাকে ঘিরে একটি বড় বিতর্ক হল, টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর সুযোগ না পাওয়া।
হার্দিক শেষ বার ২০১৮ সালে একটি টেস্ট খেলেছিলেন এবং তার পর থেকে টেস্ট ফর্ম্যাটে আর সুযোগ পাননি। গত বছর ত💜ারকা অলরাউন্ডার বলেছিলেন যে, এই মুহূর্তে টেস্ট তাঁর অগ্রাধিকার নয় এবং তিনি প্রথমে সাদা বলের ফর্ম্যাটে সহজ হতে চান। হার্দিক এশিয়া কাপে সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ফের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে মুখ খুলেছেন। এবং ব্যাখ্যা করেছেন যে, কেন তাঁকে ভারতীয় দলের অন্য যে কোনও খেলোয়াড়ের চেয়ে ‘দুই বা তিন গুণ’ বেশি দায়িত্ব নিতে হয়।
হার্দিক স্টার স্পোর্টসের ফলো দ্য ব্লুজ-এ বলেছেন, ‘একজন অলরাউন্ডার হিসেবে আমার কাজের চাপ অন্যদের চেয়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণ। দলের একজন ব্যাটারের ব্যাট করার পর দায়িত্ব কিছুটা কমে যায়। তখনও আমি বোলিং করি। তাই আমার জন্য নিজেকে 🐟পরিচালনা করা, চাপ নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করা এবং সব কিছুই ট্রেনিং সেশন বা আমার প্রশিক্ষণ বা আমার প্রি-ক্যাম্প মরশুমেই কর൩ে ফেলি।’
হার্দিক যোগ করেছেন, ‘যখন খেলা শুরু হয়, তখন দলের যা প্রয়োজন তা নিয়েই চলতে হয়, ম্যানেজ করে চলার কথা তখন মাথায়ও থাকে💜 না। এবং আমাকে কত ওভার দরকার, সেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ যদি ১০ ওভারের প্রয়োজন না হয়, আমার ১০ ওভার বল করার কোন মানে নেই, কিন্💝তু যদি ১০ ওভারের প্রয়োজন হয়, তবে আমাকে বোলিং করতেই হবে।’
হার্দিক জোর দিয়েছিলেন যে একজন অলরাউন্ডার হিসাবে তাকে তার খেলার প্রতি আস্থা রাখতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে তিনিই সেরা। বলেওছেন, ‘বোলিং করার সময়, আমাকে সম্পূর্ণ রূপ🍒ে নিজেকে বদলে ফেলতে হয়। কারণ প্রতিপক্ষ ব্যাটার, তারা চায় যে আমি ভুল করি। একই সময়ে, একজন ব্য✃াটার হিসেবে, দু'জন ব্যাটিংয়ের সময়ে মাঠে থাকে। লড়াই করে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে মাঠেও একই সময়ে ১১ জন থাকে। তাই আমি বুঝতে পেরেছি যে যাই ঘটুক না কেন, নিজেকে সমর্থন করতে হবে, আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, আপনি বিশ্বের সেরা। এটি আপনাকে সাফল্যের গ্যারান্টি দেয় না, তবে একই সময়ে, এটি আপনাকে সাফল্যের দিকে কাজ করার জন্য গাইড করে।’