বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়কে জরিমানা করল আইসিসি🔥। সিলেটে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন তৌহিদ হৃদয়। তার দায়ে তা🐟ঁকে তাঁর ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই শাস্তির কথা জানিয়েছে। শুধু জরিমানা নয়, এছাড়াও তার নামের পাশে যোগ করা হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও। হৃদয়ের বিরুদ্ধে আইসিসি তাদের কোড অব কনড্যাক্টের লেভেল ওয়ান ভাঙার অভিযোগ এনেছে।
ঘটনা শনিবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংসের চতুর্🐷থ ওভারে ঘটেছিল। আউট হয়ে উঠে যাওয়ার সময় লঙ্কান খেলোয়াড়দের কোনও একটা কথায় মেজাজ হারান হৃদয়। এ সময় শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারদের জটলার দিকে তেড়ে যান তিনি। সিলেটে শনিবার শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২৮ রানে হারের ম্যাচে আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয়। ম্যাচ শেষে হৃদয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন মাঠের🃏 দুই আম্পায়ার শরাফউদ্দৌলা ইবনে সৈকত ও তানভির ইসলাম। এ ছাড়া থার্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও ফোর্থ আম্পায়ার মাসুদূর রহমান মুকুলও তাদের অভিযোগে সায় দিয়েছেন। হৃদয় নিজের শাস্তি মেনে নেয়ায় কোনও আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
আরও পড়ুন… অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের ফলে বদলে যাবে নিউজিল্যান্ড দলের নেতা! ইঙ্গিত দিলেন টিম🌳 সাউদি
এই আচরণের জন্য তাকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এটা লেভেল ওয়ানের অপরাধ। এর ফলে হৃদয়ের নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। নুয়ান থুশারার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তখন শ্রীলঙ্কার কয়েকজন ক্রিকেটার হৃদয়ের উদ্দেশ্যে কিছু একটা বলেন। সেꦿই কথা শুনে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের দিকে তেড়ে যান তৌহিদ হৃদয়।
সেখানেই ফিল্ডারদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান হৃদয়। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন আম্পায়ার তানভীরღ আহমেদ, ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার, ড্রিংকস নিয়ে মাঠে ঢোকা তাইজুল ইসলাম। এ ঘটনার ফলে তৌহিদ হৃদয় আইসিসি কোড অন কনড্যাক্টের ২.২০ ধারা ভেঙেছেন। এদিন মাঠের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত ও তানভীর আহমেদ, তৃতীয় আম্পায়ার গাজী সোহেল ও চতুর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল হৃদয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ম্যাচ রেফারির কাছে। ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি ক্রাফটের সামনে নিজের দোষ স্বীকার করেন হৃদয়। এ কারণে বাড়তি শুনানির প্রয়োজন হয়নি।