একদিকে যখন বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়াডে ব্রোঞ্জ জিতল তারা। তবে এদিন বাংলাদেশের জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন কর🍨ে বৃষ্টি। কারণ এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বৃষ্টি হতে থাকে। ফলে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ পর খেলা শুরু হয়। তবে এই ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ওভার কমিয়ে নিয়ে আসায় হয়। মাত্র ৫ ওভারে এই ম্যাচ করার সিদ্ধান্ত নেন
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৮ রান তোলে পাকিস্তান। মির্জা বাইগ ১৮ বলে ৩২ রান করে꧋ অপরাজিত থাকেন। এছাড়াও খুশদিল শাহ ১০ বলে ১৪ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে একটি উইকেট নেন রাকিবউল হাসান। ৫ ওভারের হিসাবে বেশ ভালো রান তোলে পাকিস্তান। কিন্তু স𝓰েই রানও তুলে নেয় বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
ব্যাট করতে নেমে ♔ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের টার্গেট এসে দাঁড়ায় ৬৫ রানের। সেই টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের ব্যাটারর। ওপেন করতে নামেন জাকির হাসান এবং আফিফ হোসেন। তবে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। খাতা না খুলেই ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন জাকির। প্রথম উইকেট হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেꦅই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ব্যাট করতে নামা সাইফ হাসানও খাতা না খুলেই ফিরে যান। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ফেলায় এটা অন্দাজ করা গিয়েছিল ব্রোঞ্জ পদক জিততে চলেছে পাকিস্তান।
কিন্তু খেলাটার নাম যে ক্রিকেট। ফলে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। আফিফ হোসেন দলকে সেই পরিস্থিতি থেকে টেনে তোলেন। যোগ্য সঙ্গ দেন ইয়াসির আলি। এইಌ দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। আফিফ ১১ বলে ২০ রান করেন ৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। পাশাপাশি ইয়াসির ১৬ বলে করেন ৩৪ রান। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচে চলে নাটক। চার মেরে দলকে জিতিয়ে দেন ♐রাকিবউল। ৬ উইকেটে ৬৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে মহিলা দলের পাশাপাশি এশিয়াডে ক্রিকেটে পদক জিতল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে এটা বলে রাখতেই হবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এটা অনেক বড় দিক।