সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতে দুর্বল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সিরিজের শেষ ২টি টি-২০ ম্যাচ বাংলাদেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। তবে নিয়ম রক্ষার চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমে ♔বাংলাদেশ এমন এক লজ্জার রেকর্ড গড়ে বসে, যা নাজমুল হোসেন শান্তদের আত্মবিশ্বাসে জোর ধাক্কা দেবে সন্দেহ নেই।
মীরপুরে সিরিজের চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে🔯 নামে বাংলাদেশ। তারা ইনিংসের🌌 শুরুটা করে দুর্দান্তভাবে। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। তারা ১১ ওভারে বিনা উইকেটে দলগত ১০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওপেনার তানজিদ হাসান।
তানজিদ ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি ১০১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেয়। এমন জমাট ভিতের উপরে ব꧑াংলাদেশ বড় রানের ইমা💃রত গড়বে বলে মনে করা হচ্ছিল। বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন ছবি। ১১.২ ওভারে তানজিদ আউট হওয়ার পরে ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে।
একসময় বিনা উইকেটে ১০১ রান তোলা বাংলাদেশ ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, ৮.৩ ওভারে ৪২ রান সংগ্রহ করে ১০টি উইকেট হারায় বাংলাদেไশ। সেই সঙ্গে নাজমুলরা গড়ে ফেলে🔜ন হতাশাজনক এক রেকর্ড। বাংলাদেশই প্রথম ও এযাবৎ একমাত্র দল, যারা ওপেনিং জুটিতে ১০০ রান তোলার পরেও আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে অল-আউট হয়ে যায়।
অর্থাৎ, বাংলাদেশ ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে আর কোনও দল কখনও ওপেনিং জুটিতে ১০০ রান তোলার পরে সেই ম্যাচে অল-আউট হয়নি। শুধু আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটেই নয়, বরং ছেলেদের ဣঘরোয়া টি-২০ ম্যাচেও কোনও দল ১০০ রানের ওপেনিং জুটির পরে দেড়শোর কমে অল-আউট হয়নি। সেই নিরিখে বাংলাদেশ নিজেদের ডেরায় লজ্জার নতুন অধ্যায় রচনা করে বলা যায়।
বাংলাদেশের হয়ে ওপেনার তানজিদ হাসান ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন। অপর ওপেনার সৌম্য সরকার ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৪১ রান করেন। ১টি বাউন্ডা𝕴রির সাহায্যে ৮ বলে ১২ রান করেন তৌহিদ হৃদয়। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রান 🅺করতে পারেননি।
আরও পড়ুন:- ১টি শতরান ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরি, IPL 2024-এর ১২টি ইনিংসে কেমন খেলেছেন কোহ🅷লি?
নাজমুল হোসেন শান্ত ২, শাকিব আল হাসান ১, জাকের আলি ৬, রিশাদ হোস🍬েন ২, তাসকিন আহমেদ ০, তানজিম হাসান শাকিব ৬ ও মুস্তাফিজুর রহমান ৩ রান করে আউট হন। তনভীর ইসলাম ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবোয়ের হয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন লিউক জংউই। ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড নগারাভা ও ব্রায়ান বেনেট🎉। ১টি করে উইকেট নেন সিকন্দর রাজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।