Mitchell Johnson's explosive comments: আইপিএল ও বিসিসিআই-কে নিয়ে বিস্ফোরক ম𒀰ন্তব্য করলেন মিচেল জনসন। তিনি জানান, ‘বিদেশি ক্রিকেটারদের ওপর চাপ দিচ্ছে BCCI, এখনই IPL বন্ধ হওয়া উচিত।’ ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা BCCI-কে বিদেশি ক্রিকেটারদের জোর করে আইপিএল ২০২৫-এ ফেরানোর অভিযোগ তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন। ভারত-পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনার কারণে গত সপ্তাহে স্থগিত হওয়া আইপিএল আগামী ১৭ মে থেকে আবার শুরু হতে চলেছে। মিচেল জনসন এবার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন।
সোমবার রাতে IPL 2025 টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরুর ঘোষণা করার পর থেকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রাপ্যতা। লিগ স্থগিত হওয়ার পর বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড়ই দেশে ফিরে গিয়েছেন, কেউ কেউ মাঝপথে বিমানে ছিল। কিন্তু এরপর BCCI বারবার বিভিন্ন বিদেশি ক্রিকেট বোর্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে বলে খবর যাতে করে তারা খে𓃲লোয়াড়দের ফিরিয়ে আনে। যা জনসনের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
The West Australian-এ নিজের কলামে মিচেল জনসন লিখেছেন, ‘আমাকে যদি সিদ্ধান্ত নিতে হত যে আমি আইপিএল শেষ করতে ভারতে ফিরব কি না, আমি স্পষ্টভাবে 'না' বলতাম। জীবনের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, পে-চেক নয়। এটা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। কাউকে জোর করে ফেরানো বা চাপ দেওয়া ঠিক নয়। চাইলেও এখন আইপিএল ও PSL দুটো টুর্নামেন্টই বন্ধ করে দেওয়া উচিত অথবা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক, যদিও এতে বড়🌞 আর্থিক সমস্যা হবে।’
আইপিএল ফাইনাল ২৫ মে থেকে পিছিয়ে ৩ জুন করা হয়েছে। ফলে বিদেশি বোর্ডগুলোর ওপর খেলোয়াড় পাঠানোর চাপ বেড়েছে, বিশেষত যাদের সামনে আন্তর্জাতিক সিরিজ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্🌌পিয়নশিপ (WTC) ফাইনাল, যা ১১ জুন লর্ডসে শুরু হবে। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে।
আরও পড়ুন … টেস্টে ব্যাট ছাড়ার পরে কোহলির হাতে উঠ💛ল জপ কাউন্টিং মেশিন! শান্তির খোঁজে বিরাট
অস্ট্রেলিয়া তুলনামূলকভাবে বেশি চাপমুক্ত, কারণ কেবল প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেড এখনও আইপিএলে আছেন, এবং তাঁদের দল SRH ইতিমধ্যেই প্লে-অফ দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক বেশি সমস্যায় পড়েছে। যদিও প্রোটিয়া কোচ শুকরি কনরাড বলেছেন যে ২৬ মে-র মধ্যে তাঁদের খেলোয়াড়দে🌱র দেশে ফিরতে হবে, তবে জনসনের মতে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অসহায়তাই প্রমাণ করে তারা BCCI-র চাপে পড়েছে।
আরও পড়ুন … রিকেলটন ও জ্যাকসের পরি🎃বর্ত পেয়ে গেল MI! বেয়ারস্টো ও গ্লিসনের সঙ্গে চুক্তি প্রায় পাকা
জনসন আরও লেখেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের খেলোয়াড়দের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দিচ্ছে, যদিও সিদ্ধান্তগুলো অনেক সময় কঠিন হতে পারে। না খেললে ভবিষ্যতে হতাশা বা আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, তবে নিরাপত্তা সর্বাগ্রে। এখনকার পরিস্থিতি খেলোয়াড়দের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং, আর সেটার গুরুত্ব বোঝা দরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কার কী নিরাপদ ও সঠিক মনে হচ্ছে, শুধুই কোনও ফ্র্🍨যাঞ্চাইজির প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে নয়।’
আরও পড়ুন … ভিডিয়ো: চলে যাও… বিমানবন্দরে ভক্তের ব্যব🥃হারে রেগে লাল DC-র অজি পেসার মিচেল স্টার্ক
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক অস্ট্রেলিয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়কেই এখন WTC ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর আইপিএল ফাইনাল এখন যখন ৩ জুন, সেটা ফাইনালের মাত্র এক সপ্তাহ আগে — এত কম সময় প্রস্তুতির জন্য একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন।’ শেষে জনসনের মন্তব্য, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের খেলোয়াড়দের উপর কঠোর অবস্থান নিচ𒁃্ছে, যা বিস্ময়কর কারণ ভারতের সঙ্গে তাদের SA20 লিগের মাধ্যমে🤪 আর্থিক সম্পর্ক রয়েছে।’