বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময় বারবার অশান্তিতে মুখর হয়েছে। সেখানে ছাত্র আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা আকার নিয়েছে ধর্মীয় মেরুকরণের। যার ফলে সেখানে হাজারে হাজারে সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছে। নতুন অন্তবর্তী সরকার এলেও তাতে খুব একটা যে সুরাহা হয়েছে তেমনটা নয়। দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরেই রয়েছেন। তাঁর ছেলে যদিও দাবি করেছেন শেখ হাসিনা এখনও প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি, সেকথা গুরুত্ব দিতে নারাজ অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে মহা সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড🌜 এবং আইসিসি। সেদেশে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা মহিলা বিꩵশ্বকাপ। কিন্তু এই মূহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে সেখানে বাংলাদেশের মানুষেরই ঠিক মতো নিরাপত্তা নেই।
আর বাইরের দেশের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা কীভাবে সম্ভব, এই প্রশ্ন উঠে গেছে। আইসিসিও বিষয়টি নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় রয়েছে। শেষ মূহূর্তে মহিলা বিশ্বকাপ সরাতে গেলে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেখানে মাঠের ভেনু, নিরাপত্তা এবং সমস্ত দেশের খেলোয়াড়দের পরিকিঠামো এবং খাদ্য অভ্যাসজাত কোনও সমস্যা না হয়। সেকথা মাথায় রেখে চলতি বছরের অক্টোবরে বসতে চলা আইসিসি মহিলা টি২০ বিশ্বকাপের আসর ভারতের করার আহ্বান জানিয়েছিনল আইসিসি। যদিও সূত্রের খবর, বিসিসিআই একদমই রাজি নয় সেই প্রতিযোগিতা দেশের মাটিতে করতে।♍ ফলে মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশের মতো আইসিসিও একই রকম সমস্যায়।
বিকল্প ভেনু হিসেবে ꧒আরব আমিরশাহী, নিউজিল্যান্ড এবং দঃ আফ্রিকার কথা ভাবছে আইসিসি। এই তিন দেশেই দ্রুত বিশ্বকাপ সরানো যেতে পারে, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার পরই সেখানে প্রতিযোগিতা সরাতে চাইছে আইসিসি। বিসিসিআইয়ের তরফে মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাবে না শোনার পর আইসিসি দ্রুত চাইছে বাংলাদেশের কাছ থেকে এই নিয়ে উত্তর পেতে।
জয় শাহ জানিয়েছেন, ‘আইসিসি আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল এবছরের মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাই কিনা, আমরা 𒐪তাতে জানিয়েছি আমরা আগ্রহী নই। আগামী বছর দেশে মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপ রয়েছে, আমরা চাইনা কেউ ভাবুক পরপর দুবছর আমরা বিশ্বকাপ ༺আয়োজন করতে চেয়েছি ইচ্ছাকৃতভাবে। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে এখনও কোনও কথা হয়নি, নিশ্চয় ওরা যোগাযোগ করবে আমাদের সঙ্গে, নাহলে আমরা করব ’।
এদিকে কদিন আগেই দেশে আদৌ মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব কিনা তা জানতে চেয়ে দেশের সেনার কাছে চিঠি লিখেছে বিসিবি। এই মূহূর্তে অন্🥀তর্বর্তী সরকার থাকলেও বকলমে সবই চালাচ্ছে সেনা, তাই তাঁদের সিদ্ধান্তের পর আইসিসিকে বিষয়টি খোলসা করবে বিসিবি।