প্রথমত,ꦫ ভারতের মতো শক্তিশালী দল যদি টেস্টে ৫০-এর কম রানে গুটিয়ে যায়, তাহলে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্যাপ🐓্টেনকে কী ধরণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে, রোহিতের মতো বিচক্ষণ অধিনায়ক সেটা ভালোভাবেই বোঝেন। তার উপর বেঙ্গালুরুতে টস জিতে ভারত শুরুতে ব্যাট করতে নামে। রোহিতের শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত এক্ষেত্রে বুমেরাং হয় সন্দেহ নেই।
বেঙ্গালুরু টেস্𒊎টের দ্বিতীয় দিনের শেষে অন্য কাউকে ঠেলে না দিয়ে ক্যাপ্টেন নিজে এগিয়ে আসেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। জানতেন যে ধারালো সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাঁকে। তাই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েই স্ব🐠ভাবসিদ্ধ মজাদার ভঙ্গিতে রোহিত এমন ২টি শব্দ উচ্চারণ করেন, যা মুহূর্তে হালকা করে দেয় সকলের মেজাজ।
হিটম্যান এক্ষেত্রে প্রেস কনফারেন্সে 🐼এসেই বলেন যে, ‘চালাও তলোয়ার’। অর🔯্থাৎ কিনা, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ শুরু করো।
র🉐োহিত এক্ষেত্রে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের বলে উল্লেখ করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে রোহিতের সিদ্ধান্ত নিতান্ত ভুল, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। কেননা বেঙ্গালুরুর পিচে রান তোলা যে বিশেষ সমস্যার সময়, সেটা বোঝা গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্য🔯াটিং দেখে। আসলে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ঢাকা দেওয়া পিচের আদ্রতা ও সকালের মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া কিউয়ি পেসারদের জন্য পরিস্থিতি অনুকূল করে দেয়।
ভারত প্রথম সেশনটা দেখেশু🐽নে কাটিয়ে দিতে পারলে ভিন্ন ছবি দেখা যেতে পারত। পরিবর্তে টপ অর্ডারে যে জোরালো ধাক্কাও লাগে, টিম ইন্ডিয়ার লোয়ার অর্ডার সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি।
এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘বোলারদের কীভাবে সামলাতে হবে, সব ব্যাটারই সেটা জানে। পিচের আচরণ কেমন হতে পারে, সেটাও সবাই বোঝে। তবে এমনটা হতেই পারে। কখনও কখনও আপনি যখন কিছু করার চেষ্টা করেন, সব কিছু পরিকল্পনামাফিক নাও হতে পারে। আজকের দꦯিনটা আমাদের জন্য নিতান্ত খারাপ ছিল। অতীতে আমরা এই ধরণের ম্যাচ অনেক খেলেছি। এটা সত্যিই চ্যালেঞ্জের ছিল।’
রোহিত এটাও মেনে নেন যে, নিউজিল্যান্ডের বোলাররা বেঙ্গালুরুর পরিবেশ-পরিস্থিতি যথাযথ ব্যবহার করেছে। তাঁর কথায়, ‘পরিস্♎থিতি নিউজিল্যান্ডের অনুকূলে ছিল। ওরা নিজেদের দেশে এমন পরিস্থিতিতে খেলতে অভ্যস্ত। ওদের বোলাররা আমাদের ব্যাটারদের বিস্তর চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। পিচ ও আবহওয়া থেকে যে সাহায্য মিলেছে, সেটা ওরা পুরোপুরি ব্যবহার করেছে।’