২০১৫-১৬ মরশুমে একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ ড্র করেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে এতদিন ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে কোনও দ্বিপাক্ষিক টি-২০ সিরিজে জয় অধরা ছিল দ্বীপরাষ্ট্রের। অবশেষে শাপমুক্তি। এবার ঘ🐟রের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে ইতিহাস🥃 গড়ল শ্রীলঙ্কা।
যদিও এবারও সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচ হেরে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে 🔯শ্রীলঙ্কা। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের বিধ্বস্ত করে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় তারা। বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় তথা নির্ণায়ক টি-২০ ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। সৌজন্যে দুই কুশলের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি।
ডাম্বুলায় সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৬২ রানের 🔴চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়ে তোলে। ক্যাপ্টেন রোভম্꧙যান পাওয়েল দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৭ রান করেন। ২৭ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ১৫ বলে ৩২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন গুড়াকেশ মোতি। তিনিও ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৯ বলে ২৩ ꦓরান করেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৫ বলে ১৮ রানের ধীর ইনিংস খেলেন শাই হোপ। ১টি চা🔜র ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ১৮ রান করেন রোমারিও শেফার্ড।
🐻শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। ৩ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা। ১টি করে উইকেট দখল করেন নুয়ান তুষারা📖, কামিন্দু মেন্ডিস, চরিথ আসালঙ্কা ও মাথিশা পথিরানা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ♎্কা ১৮ ওভারে মাত্র ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ ১২ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা এবং ২-১🗹 ব্যবধানে সিরিজ পকেটে পোরে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেন 🥀কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিস। পেরেরা ৩৬ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৭টি চার মারেন। ৫০ বলে ৬৮ রান করে নট-আউট থাকেন কুশল মেন্ডিস। তিনি ৫♉টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ২২ বলে ৩৯ রান করে আউট হন পাথুম নিশঙ্কা। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ম্যাচের সেরা হন কুশল মেন্ডিস। সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন পাথুম নিশঙ্কা।