চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে আরসিবি আইপিএল ২০২൲৪-এর প্লে-অফে ওঠার দিনে বেঙ্গালুরুর সাজঘরে দেখা গিয়েছিল ক্রিস গেইলকে। বিরাট কোহলিদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ক্যারিবিয়ান কিংবন্তি। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আইপিএলে গেইলের সেরা সময় কেটেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরেই। তবে গেইলের আইপিএল কেরিয়ার শুরু কেকেআরের হয়ে।
২০০৯ ও ২০১০ সালে ক্রিস গেইল ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। যে দলের হয়ে আইপিএল কেরিয়ার শুরু করেন গেইল, তাদের সাফল্যে সবার আগে সেলিব্রেশন শুরু করতেও দেখা গেল তাঁকে। রবিবার চিপকে সানরাইজা�ౠ�র্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে কেকেআর তৃতীয়বারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়। ঠিক তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে গেইল শুভেচ্ছা জানান কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আইপিএল চꦡ্যাম্পিয়ন হয়ে কেকেআর এখಞনও কলকাতায় ফেরেনি। তার আগেই নাচ-গান হৈ-হুল্লোড়ে মাততে দেখা যায় গেইলকে। ভিডিয়ো পোস্ট করার সময় গেইল ছিলেন পার্টি মুডে। তাঁকে ক্রুজ পার্টিতে পানীয়র গ্লাস হাতে বন্ধুদের সঙ্গে শরীর দোলাতে দেখা যায়।
গেইল ২০০৯ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ৭টি ম্যাচ খেলেন। ১১৯.৫৮ স্ট্রাইক-রেটে সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ১৭১ রান। ২০১০ সালে কলকাতার হয়ে ৯টি ম্যাচে মাঠে নামেন ক্রিস গেইল। তিনি ২টি অর্ধশতরান-সহ ১৫৮.৬৯꧃ স্ট্রাইক-রেটে সংগ্রহ করেন ২৯২ রান। ২০১১ সালে ক্যারিবিয়ান তারকা যোগ দেন আরসিবিতে।
শেষে ২০১৮ সালে গেইলকে দলে নেয় কিংস ইলেভেন পঞ্জা🌱ব। ২০২১ সাল পর্যন্ত পঞ্জাবের হয়ে মাঠে নেমে আইপিএলকে বিদায় জানান দ্য ইউনিভার্স বস। বর্ণোজ্জ্বল আইপিএল কেরিয়ারে গেইল মোট ১৪২টি ম্যাচ খেলেছেন। সংগ্রহ করেন ৪৯৬৫ রান। তিনি আইপিএলে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ইন্ডিয়া🦹ন প্রিমিয়র লিগে মোট ৩৫৭টি ছক্কা মেরেছেন ক্রিস গেইল।
উল্লেখ্য, রবিবার চিপকে আইপিএল ২০২৪-এর ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে পরাজিত করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। টস জিতে শ▨ুরুতে ব্যাট করতে নামে হায়দরাবাদ। তারা ১৮.৩ ওভারে মাত্র ১১৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ২৪ রান করেন প্যাট কামিন্স। ১৯ রানে ৩টি উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল।
পালটা ব্যাট করতে নেম𝓰ে কেকেআর ১০.৩ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১১ౠ৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। বেঙ্কটেশ আইয়ার ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৯ রান করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।