♍ শুভব্র মুখার্জি: চলতি আইপিএলের ৪০তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস দল। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দুই দলের মধ্যে জোরদার লড়াই হল। কোনও দল অপর দলকে যেন এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি ছিলেন না। ফলে দিনের শেষে এক টানটান উত্তেজনার ম্যাচের সাক্ষী থাকল ক্রিকেট ভক্তরা। যেখানে ম্যাচ শেষে চার রানে জয়ী হল দিল্লি ক্যাপিটালস দল। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ডেথ ওভারে অভিজ্ঞ এনরিখ নরকিয়াকে বোলিং দেননি ঋষভ। বরং ভরসা রেখেছিলেন রশিখ সালামের উপর। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে রশিখ গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট তুলে নেন। আউট করেন সাই কিশোরকে। আর ম্যাচ জেতার পরে এই বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়েই ঋষভ জানিয়েছেন, ম্যাচে ভালো বল করছিল বলেই রশিখের উপর তিনি বিশ্বাস রাখতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:📖 শেষ বলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ, লড়াই করেও জিতল না গুজরাট, ৪ রানে জিতে অক্সিজেন পেল দিল্লি
🗹ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন ঋষভ পন্ত। এর পরে তাঁকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময়ে ১৯তম ওভারে রাশিখকে কেন বোলিং করতে এনেছিলেন, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, পন্ত বলেন, ‘আজ এনরিখ নরকিয়ার খুব কঠিন সময় যাচ্ছিল। টি-২০ কিন্তু খুব মজার খেলা। ১৪-১৫ ওভারের পর থেকেই বল সুন্দর ভাবে ব্যাটে আসছিল। আর সেই কারণেই আমি রশিখের উপর বিশ্বাস রাখতে চেয়েছিলাম। একজন যে ম্যাচে ভালো বোলিং করছে, তার উপর তো বিশ্বাস রাখতেই হবে, তাই না? আমি মনে করি, এখানেই একজন অধিনায়কের প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব কাজ করে। এটা মাঝে মধ্যে কাজ করবে। আবার মাঝে মধ্যে তা কাজ নাও করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ✱শেষ ২ ওভারে দিল্লি হাফসেঞ্চুরি করল, পন্ত-স্টাবস ঝড়ে স্কোর ১৭১ থেকে পৌঁছে গেল ২২৪-এ, হল বড় রেকর্ড
🍬পন্ত আরও যোগ করেন, ‘৪৩/৩ এই অবস্থা থেকে আমরা রানের গতিটা বজায় রাখতে চেয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল ওদের প্রধান স্পিনারদের টার্গেট করে আক্রমণাত্মক খেলা। আমরা যদি আমাদের মন মতন বল পাই, তাহলে মারবই। আর না হলে সিঙ্গল নেব। প্রতিদিন আমি যত সময় ২২ গজে কাটাচ্ছি, তত বেশি নিজেকে যেন আগের জায়গায় ফিরে পাচ্ছি। মাঠে প্রতিটা ঘন্টা গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠে থাকতে আমি খুব ভালোবাসি। আমি সব সময়ে নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করি। এটা মাঝে মধ্যে সময় নেয়। আমি মনে করি, ম্যাচে যে প্রথম ছয়টি মারি, তা আমাকে আত্মবিশ্বাস জোগায়। মাঠে যতটা বেশি আমি সময় কাটাই, তত বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ অনুভব করি।’ উল্লেখ্য, এদিনের ম্যাচে পন্ত মাত্র ৪৩ বল খেলে ৮৮ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।