রঞ্জি ট্রফিতে প্রত্যাবর্তনে দুরন্ত মহম্মদ শামি। বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন তিনি। গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার পর চোটের জন্য দীর্ঘ ৩৬০ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে বুধবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে র🅠ঞ্জি ট্রফির ম্যাচে কামব্যাক হয় তাঁর। প্রথম দিনে শামিকে ছন্দে না পাওয়া গেলেও দ্বিতীয় দিনের সকালে আগুন ফর্মে পাওয়া যায় তাঁকে। সব সমালোচকদের জবাব দিয়ে দেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উ💎ইকেট নিয়েছিলেন শামি। তাঁর এই দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে মধ্যপ্রদেশ মাত্র ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার ESPN ক্রিক ইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান শামি কামব্যাকের জন্য কতটা উদগ্রীব ছিলেন। শুধু তাই নয়, রজত পতিদার এবং শুভ্রাংশু সেনাপতি জুটি যখন ক্রিজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল তখন নিজেই অধিনায়কের থেকে বল চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি।অনুষ্টুপ বলেন, ‘সেই সময় পার্টনারশিপ বড় হয়ে উঠছℱিল। কিন্তু শামি সেই সময় আমার কাছে এসে বোলিং চায়। ও নতুন স্পেল করতে চাইছিল। সে প্রমান করেছে ও মাঠে ফেরার জন্য কতটা উদগ্রীব ছিল। আমার দ𓆉েখে মনে হয়নি ও চোট সারিয়ে ফিরে এসেছে।’
বৃহস্পতিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক শুভম শর্মাকে বোল্ড করে নিজের উইকেট নেওয়ার খাতা খোলেন শামি। এরপর শেষের দিকে সারাংশ জৈন (৭), কুমার কার্তিকেয়ন (৯) এবং কুলবন্ত খেজরোলিয়াকে (০) আউট করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই… একজন এক বছর পর ক্রিকেট মাঠে ফিরে এলো তারপর এতগুলো উইকেট নিল, 𓆏অসাধারণ! ও কোনও রকম ম্যাচের প্রস্তুতি ছাড়া সরাসরি মাঠে নেমেছি🃏ল। আপনি ভাবতে পারছেন? তবে অবশ্যই ও যত বেশি ম্যাচ খেলবে তত বেশি ভালো হবে। সে একটা ৬ ওভারের স্পেল করে এবং পরে ৫ ওভারের স্পেল করে, এখন IPL-এর কারণে বেশিরভাগ বোলারই ৪ ওভারের বেশি স্পেল কী ভাবে করতে হয় জানে না। আমি আমার জীবনে এর আগে কোনও ক্রিকেটারকে এতো শক্তিশালী হয়ে প্রত্যাবর্তন করতে দেখিনি। ও আজ যেটা করেছে সেটা কল্পনার বাইরে।’ যদিও এই ম্যাচের পর আর হয়তো রঞ্জি খেলতে দেখা যাবে না মহম্মদ শামিকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ঢাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম এবং দ্বিতীয় টেস্টের মাঝে প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলতে দেখা যেতে পারে শামিকে।