ভারতীয় ক্রিকেট দলের জোড়াফলা বিরাট কোহলি এবং জসপ্রীত বুমরাহ। টি২০ বিশ্বকাপ বিরাট কোহলির জন্য তেমন ভালো না গেলেও বিরাট কোহলি এখনও সিমিত ওভারের ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের সেরা পারফরমার, একথা অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই। তেমন বল হাতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ভারতের টপ পারফর্মার জসপ্রীত বুমরাহ। যদিও আইসিসির প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর পারফরমেন্স খারাপ এতদিন এমন অভিযোগই উঠত। কারণ ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্꧒রফি, ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ বা ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি▨২০ বিশ্বকাপে দাগ কাটতে পারেননি বুমরাহ। কিন্তু এবার ভারতের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের মূল কারিগরই তিনি। এবার বিরাট-বুমরাহকে নিয়েই মাঠের বাইরে লড়াই লেগে গেল দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের মধ্যে।
আরও পড়ুন-দ্রাবিড়ের কোচিংয়꧅ꦜে জোড়া বিশ্বকাপ জয়! কোচের বিদায়বেলায় বিশেষ বার্তা আর্শদীপের
ভারতীয় দলের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের জন্য কোনও একজনকে বেছে নিতে হলে ক্রিকেট ঈশ্বর স্বয়ং ঘাবড়ে যেতে পারেন, কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত জিতেছে দলগত সংহতিতে। সেখানে বিরাটের অর্ধশতরান, হার্দিকের তিন উইকেট, বুমরাহর ইকোনমিকাল স্পেল, সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচ, অর্থাৎ ম্যাচে একাধিক টার্নিং পয়েন্ট রয়েছে,🎃 যা কাজে লাগিয়ে ভারত দঃ আফ্রিকাকে হারায়। যদিও বিরাট কোহলির ফাইনাল ম্যাচে ইনিংস দেখার পর তাঁকে নিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু বলেছিলেন, ‘বিরাট কোহলি 𒉰ভারতের এবং বিশ্ব ক্রিকেটের গর্ব। আগে ভারতের কাছে কোহিনূর ছিল, এখন ভারতের কাছে বিরাট কোহলি আছে ’ । যদিও আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক অবশ্য বিরাটকে কোহিনূর মানতে নারাজ।
ফাইনাল ম্যাচে নিজের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ, তুলে নেন মার্কো জানসেনের উইকেট। গোটা প্রতিযোগিতায় ৮ ম𒁃্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট, যা দেখে তাঁকে কোহিনূরের থেকেও দামি মনে করছেন কার্তিক। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক বলছেন, ‘আমি ম্যাচের সময়ও বলছিলাম, জসপ্রীত বুমরাহ কোহিনূরের থেকেও দামি, সত্যিই তাই। আমার চোখে দেখা সব ফরম্যাটের জন্য সেরা বোলার জসপ্রীত বুমরাহ। যখনই দল বিপদে পড়েছে টেনে তুলেছে বুমরাহ, সেটা একবার নয়, বারবার। এমন ক্রিকেটার দলে থাকা অধিনায়ককে অনেক স্বস্তি দেয়, কারণ যে কোনও মূহূর্তে ওকে ব্যবহার করা যায়। সেই কারণেই বুমরাহ দুর্ধর্ষ, অনবদ্য ’।
কোহিনূরের থেকে কোহলি না বুমরাহ, টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর আপাতত সেই চর্চাই জারি থাক। দলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হওয়ার এমন স্বাস্থকর লড়াই যে ভারতের জন্য ♑ইতিবাচক দিকে সেটা বলাই বাহুল্য।