বীরেন্দ্র সেহওয়াগকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি 🃏অজি ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। ২০১৭ সালে সেহওয়াগ এবং ম্যাক্সওয়েল দু’জনেই পঞ্জাব কিংস দলে ছিলেন। সেই সময় তাঁদের মধ্যে কীভাবে সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল তা নিজের সম্প্রতি প্রকাশিত বইয়ে উল্লেখ করেছেন ম্যাক্সি। ২০১৭ সালে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ পঞ্জাবের মেন্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ওই বছরই দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন ম্যাক্সওয়েল। এরপরেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি। তিনি বইতে উল্লেখ করেছেন, কীভাবে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দলের মধ্যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করত। এমনকী দলের অধিনায়ক হিসেবে ম্যাক্সওয়েলের প্রথম একাদশ বাছাই করারও ক্ষমতা ছিল না।  ꦓ;
ম্যাক্সওয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘যখন দ😼ল নির্বাচনের কথা আসে, তখন আমি ভেবেছিলাম আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কোচদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করা যেতে পারে, যেখানে সবাই তাদের নিজের নিজের মত জানাবে। সবাই এতে সম্মত হয়, তবে একমাত্র ব্যতিক্রমী ছিল সেহওয়াগ’। তিনি আরও লিখেছেন, ‘গোটা বিষয়টির শেষে ও এটা স্পষ্ট করে দেয়, যে চূড়ান্ত একাদশ বাছবে ও নিজেই। আমরা মাঠ, মাঠের বাইরে সব জায়গায় হারছিলাম। ও এমন সব সিদ্ধান্ত নিত, যেটার মোটেই প্রয়োজন ছিল না’।
ম্যাক্সওয়েল এরপর উল্লেখ করেছেন এই ঘটনার পর তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন বীরু, যার ফলে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। তিনি বইতে লিখেছেন, ‘গ্রুপের শেষ ম্যাচে পুনেতে অ্যাওয়ে কন্ডিশনে ধাক্কা 💮খেয়েছিলাম আমরা। ভেজা উইকেটে ব্যাট করতে নেমে আমরা ৭৩ রানে অলআউট হয়ে যাই। আমাদের কাছে সব কিছু শেষ হয়ে গেছিল। যেভাবে ছন্নছাড়া হয়ে আমাদের খেলতে হয়েছিল, তার মধ্যেও যেভাবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত প্লে অফে যাওয়ার দৌড়ে ছিলাম, সেটা ভেবে এখনও গর্বিত লাগে’।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি যেভাবে পারফর্ম করেছি তাতেও খুশি ছিলাম, ব্যাট ও বল দিয়ে সঠিক সময়ে খেলাকে প্রভাবিত করার সুযোগ দিয়ে নেতা হিসেবে সঠিক কাজটি করেছি। একদিন টিম বাসে উঠে বুঝতে পারি দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে আমাকে। কী ঘটছিল আদৌ বুঝতে পারছিলাম না। আমি হোটেলে গিয়ে জানতে পারি সেহওয়াগ মিডিয়ার সমানে আমাকে 'বড় হতাশা' বলে উল্লেখ করেছিলেন। ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব না নেওয়ার জন্য আমাকে দো𝓀ষারোপ করেছিলেন। ভীষণ অপ্রীতিকর একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ভেবেছিলাম, একে অপরের প্রতি সৌজন্যতা বজায় রেখেই বিদায় নেব।’
বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মন্তব্য তাঁকে খুব হতাশ করেছিল, তাই ম্যাক্সওয়েল একবার তাঁকে ম্যাসেজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘আমি ওকে টেক্সট করি, তার কথায় আমি কতটা আঘাত পেয়েছি সেটা বুঝিয়ে দিই। বলি, কীভাবে আমার মধ্যে থাকা একটা সমর্থক ও হারাল। সে পাল্টা লেখে, আমার মত ফ্যান ওর প্রয়োজন নেই। এরপরে আমাদের মধ্যে আর কথা হয়নি। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আমার সময় যে ফুরিয়ে এসেছে, সেটা বুঝতে পারছিলাম। সেহওয়াগকে তারা যদি ধরে রাখে তাহলে তারা আবার ভুল করবে, সেটা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানাই’। এরপর ২০২০ সালে আবার পঞ্জাবে ফিরে এসেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। তার ২ বছর আগেই দল ছেড়েছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। তবে ব্যর্থ হয় ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তাঁর পুনর্মিলন। পরের বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে নাম লেখান তিনি।