সব জল্পনার অবসান। অবশেষে অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন হনুমা বিহারি। ২ মাসের বেশি সময় পর, অবশেষে অন্য রাজ্যে খেলার ছাড়পত্র পেলেন জাতীয় দলের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার। অন্ধ্র প্রদেশে সরকারের পালাবদল হতেই এনওসি পেলেন হনুমা বিহারি। দীর্ঘদিন অন্ধ্র প্রদেশ দলের হয়ে খেলেছেন হনুমা, দায়িত্ব সামলেছেন অধিনায়ক হিসেবে। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে একনিষ্ঠ কাজ করাই কাল হল তাঁর। কদিন আগেই দলের এক ক্রিকেটারের ওপর নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন হনুমা, জড়িয়েছিলেন ঝামেয়ায়। তবে সেটা ছিল একদমই খেলার꧟ পারফরমেন্স প্রসঙ্গে। কিন্তু সেই ক্রিকেটারের বাবা অন্ধ্র প্রদেশের একজন হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ। ফলে রাজনৈতিক প্রভাবের জেরে অন্ধ্র প্রদেশ অ্যাসোসিয়েশন এক্ষেত্রে হনুমাকে ﷽সমর্থন করেনি, এমনকি সেই ক্রিকেট সংস্থার কর্তারাও তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
আরও পড়ুন-করোনার সময় দর্শকদের হাততালি ♏পায়নি, তাই রান করেনি বিꦆরাট! আজব যুক্তি RCB সতীর্থ-র
ক্রিকেটের স্বার্থে এবং দলের স্বার্থে সতীর্থ ক্রিকেটার প্রুধভি রাজের ওপর রাগারাগি করলেও পরে অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সরাসরি তাঁকেই কাঠগড়ায় তোলায় হনুমাও সরব হন। মধ্𝔍য প্রদেশের বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফিতে হারের পর হনুমা বিহারি স্পষ্টতই বলেছিল🌜েন, যে রাজ্যের জন্য ক্রিকেটে তিনি এতকিছু করেছেন, সেখানে তিনি প্রাপ্য সম্মান পাননি। এক্ষেত্রে, যে ব্যবহার তাঁর সঙ্গে অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন করেছে, তা তিনি মেনে নিতে পারছেন না, তাই সেরাজ্যের হয়ে আর খেলবেন না। এরপরই তাঁকে প্রকাশ্যে মুখ খোলার জন্য শোকজ করে এপিসিএ, পাল্টা এনওসি চেয়ে বসেন হনুমা বিহারি।
আরও পড়ুন-খোলা মাঠে অনুশীলন বিরাটদের! রাখঢাক না রেখেই এ꧙বার আইসিসিকে তোপ রাহুল দ্রাবিড়ের
ভোটের ফলাফলের সঙ্গে সরাসরি তাঁর এনওসি পাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, এই ইঙ্গিত দিলেন হনুমা বিহারি। অবশেষে অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পাওয়ার পর, হনুমা বিহারি সেই চিঠির ছবি পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমি গত দুমাস ধরে এনওসি চাইছি, চারবার মেল করেছি, কিন্তু এনওꦐসি দেয়নি। এখন পরিস্থিতি ঘুরে যাওয়ার পর, সঙ্গে সঙ্গে এনওসি দিয়ে দিয়েছে ’। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও তিনি নিশানা করেছে এপিসিএকেই।
আরও পড়ুন-বাবা! ওর মতো অলসღ আমি কাউকে দেখিনি, গম্ভীরকে নিয়ে ভয়ঙ্কর মন্তব্য RCB তারকার
হনুমা বিহারি দেশের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচে খেলেছেন শুধু নয়, বিদেশের মাটিতে ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়েরও সাক্ষী। অথচ এমন ক্রিকেটার🧜কেই যদি সরাসরি রাজনীতির 💙শিকার হতে হয়, তাহলে সেটা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য যে মোটেই ভালো বিষয় নয়, তা বলাই বাহুল্য। অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অন্দরেও রাজনৈতিক নেতা বা রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ যে আদতে তাঁদের ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো দিকে নিয়ে যাচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত এপিসিএকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার দাবি তুলেছে সেরাজ্যের ক্রিকেটপ্রেমীরা।