পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট সিরিজ এবং এর সঙ্গেই শেষ হলো ডেভিড ওয়ার্নারের আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট জীবন। শনিবার, অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি, শেষ হলো তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ। এদিন ছিল চতুর্থ দিনের খে🔜লা। তবে নেমেই রীতিমতো চোখের নিমেষে পাকিস্তানের সবকটি উইকেট ফেলে এবং ঝড়ের গতিতে রান করে ম্যাচ পকেটে তুললো অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শেষে পুরস্কার ꦉবিতরণী অনুষ্ঠানে ডেভিড ওয়ার্নার জানান যে তিনি আশা করছেন যে সকলের মুখে তিনি হাসি দিয়েই ছেড়েছেন। পাশাপাশি, তিনি ধন্যবাদ জানান নিজের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে চিরকাল পাশে থাকার জন্য।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আজ যেন মনে হচ্ছে আমার সমস্ত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিপক্ষ দলকে ৩- ০তে হারানো। তাছাড়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা, সবকিছুই যেন স্বপ্নের মতো আজ লাগছে♔। আমি এই দলের হয়ে খেলতে পেরে গর্বিত। খুবই আনন্দের সঙ্গে এই সিরিজটা আমি খেলেছি। আশা করছি আমি সকলের মুখে হাসি দিয়েই নিজের আন্তর্জাতিক টেস্ট জীবন শেষ করলাম। দলে এই মুহূর্তে যেই তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে, আশা করছি সকলেই আমার পথ অবলম্বন করবে ভবিষ্যতে। তাই সকলকে আমি এটাই বার্তা দ🔜েবো যে কঠোর পরিশ্রম করো এবং মন দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলো।'
এরপরই, দীর্ঘদিন ধরে সমর্থনের জন্য অজি তারকা ব্যাটার ধন্যবাদ জানান নিজের পরিবারকে। ওয়ার্নার বলেন, 'ওদের অবদান আমার জীবনে চরম। ওরা ছাড়া আমি কিছুই নই। আমি সব কৃতিত্ব দিতে চাই নিজের মা ও বাবাকে আমাকে এত সুন্দর করে গোড়ে তোলার জন্য। আমার ভাই স্টিভকেও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। এরপর ক্যানডিস আমায় সর্বদা সমর্থন করে গিয়েছে। আমাদের একটা সুন্দর পরিবার আছে। যখনই আমি সুযোগ পাই ওদের সঙ্গে আনন্দ করে সময় কাটাই। আমি ওদের খুব ভালোবাসি। আমি আর কিছু বলতে চাইনা এই মুহূর্তে। ধন্যবাদ ক্যানডিস চিরকাল আমার পাশে থাকার জন্য। তুꦛমি আমার সবকিছু এবং এটাই আমার কাছে অনেক।'
উল্লেখ্য, চতুর্থ দিনে ৭ উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১১৫ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে চারটি উইকেট নেন হেꦅজেলউড। এছাড়া তিনটি উইকেট পান নাথান লিয়ন এবং একটি করে উইকেট তোলেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও ট্র্যাভিস হেড। জবাবে ১৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া দুই উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় প্রয়োজনীয় রান। অর্ধশতরান আসে ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্নাস ল্যাবুশানের ব্যাট থেকে। ওয়ার্নার করেন ৫৭ এবং ল্যাবুশান ৬২। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেটই পান সাজিদ খান। ম্যাচের সেরা হন আমির জামাল এবং সিরিজের সেরা হন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।