ভারতের মাটিতে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে শিরোনামে নিউজিল্যান্ড। ১২ বছর পর ঘরের মাঠে কোনও টেস্ট সিরিজে পরাজিত হতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। রোহিতদের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়া। নভেম্বরের ২২ তারিখ থেকে শুরু হবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্ট ম্যাচ। তার আগে ভারতের সিরিজ হারকে খোঁচা দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি জানান, নিউজিল্যান🅷্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ হারের পর যদি তাঁকে ভারতীয় দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে হতো তাহলে তিনি নার্ভাস থাকতেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোহিতদের এরকম অবস্থা হবে তা কেউ আন্দাজ করতে পারেনি। কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে পরাজয়ের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে এক থেকে দুইয়ে নেমে গেছে টিম ইন্ডিয়া। পয়লা নম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরকম পরিস্থিতিতে WTC-এর ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডের কাছে ভারতের সিরিজ হার প্রসঙ্গে ওয়ার্নার বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। টম লাথাম এবং তার টিম⛄কে অভিনন্দন। আমি যদি প্রথম টেস্টের দিকে ফিরে তাকাই তাহলে সেখানে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি কিছু দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছিল তারা। যেখান থেকেই সিরিজ জয়ের সুর বেঁধে দিয়েছিল ওরা। আ♐পনি যদি ওরম ক্যাচ ধরেন তাহলে অবশ্যই ম্যাচে এগিয়ে থাকবেন। আমি জানি এই জয়ের গুরুত্ব। তারা যেটা করে দেখিয়েছে তা অনবদ্য।’
ওয়ার্নার ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘এটা অস্ট্রেলিয়াকে সাহায্য করবে। ভারত এখানে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে হেরে খেলতে আসছে, আমাদের কাছে আবার বিশ্ব মানের ৩ জন ফাস্ট বোলার এবং ২ জন স্পিনার আছে। আমি যদি ওদের ব্যাটিং অর্ডারে থাকতাম তাহলে নার্ভাস থাকতাম।’ তিনি মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজকে কীভাবে খেলতে হবে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ওয়ার্নার মনে করেন মহম্মদ শামি🌌র নাম স্কোয়াডে না থাকলেও সিরিজে পরের দিকে তাঁকে ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে।
কিউয়িদের বিরুদ্ধে সিরিজে ভালো না খেললেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন অস্ট্রেলিয়ায় নিজের ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টায় থাকবে বলে সতর্ক করেছেন ওয়ার্নার। তিনি বলেন, ‘তাদ♔ের দলে অনেক বয়স বেশি ক্রিকেটার আছে। আমি জানি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলেও ৩০ বছরের বেশি বয়সী ক্রিকেটার আছে। কিন্তু ওদের রোহিত, বিরাট, জাদেজা এবং অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার আছে। যারা নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছে। তারা যবেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবে চেষ্টা করবে শীর্ষে থেকেই অবসর নিতে। আমি তাদের খুব ভালো করে চিনি। তারা এখানে বড় রান করার লক্ষ্যে থাকবে।’