রাজকোটের বাইশগজে যে বিস্তর রানের হদিশ রয়েছে, সেটা এককথায় মেনে নেন দুই অধিনায়কই। পিচের চরিত্র বর্ণনায় রবি শাস্ত্রী রাজকোটে পাশাপাশি তৈরি চারটি বাইশগজকে চার লেনের হাইওয়ে তকমা দেন, যেখানে ব্য🎐াটসম্যানরা ইচ্ছেমতো গতিতে রান তুলতে পারেন।
স্বাভাবিকভাবেই এমন পিচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি দলনায়ক প্যাট কামিন্স। ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তকে যথাযথ প্রমাণ করেন দুই অজি ওপেনার। টি-২০ ক্রিকেটের🎐 ঢংয়ে আগ্রাসী ভঙ্গিতে ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৬.১ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই দলগত ৫০ রানে পৌঁছে যায় তারা। ৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৬৫ রান। সপ্তম ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণার বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ডেভিড।
৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৭.৫ ওভারে মহম্মদ সিরাজের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে 🐲অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান অজি ওপেনার। নিজের প্রথম ওভারে ১৯ রান খরচ করলেও প্রসিধকে সেই স্পেলে পুনরায় বল করতে ডাকেন রোহিত। নবম ওভারে পুনরায় বল করে এসে ওয়ার্নারকে সাজঘরে ফেরান কৃষ্ণা।
৮.১ ওভারে প্রসিধের বলে অফ-স্টাম্পের দিকে শাফল করে স্কুপ শট খেলার চেষ্টা করেন ওয়ার্নার। প্রসিধ বুদ্ধি করে বল ব্যাটসম্যানের শরীরের দিকে টেনে দেন। শট খেলার জায়গা না মেলায় বল ঠিকমতো কানেক্ট করতে পারেননি ওয়ার্নার। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার লোকেশ রাহুলের দস্তানায় জমা পড়ে। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৫৬ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় ডেভিডকে। অস্ꦏট্রেলিয়া দলগত ৭৮ রানে প্রথম উইকেট হারায়।
অস্ট্রেলিয়ার চারজন ব্যাটসম্যান ম্যাচে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্♏ডি টপকে যান। ওয়ার্নার ছাড়াও মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস ল্যাবুশান অর্ধশতরান করেন। নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন মার্শ। মিচেল মার্শ ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ৯৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্য ৬১ বলে ৭৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন স্টিভ স্মিথ। ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ বলে ৭২ 🔯রান করে মাঠ ছাড়েন মার্নাস ল্যাবুশান। অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।