রাজকোটে ভারতের টেস্ট ক্যাপ হাতে পেয়েই সরফরাজ খান সোজা দৌড় লাগান বাবা নওশাদের কাছে। দেশের হয়ে মাঠে নামার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার ম♛ুহূর্তে শুধু সরফরাজকেই নয়, বরং আবেগঘন দেখায় তাঁর পিতাকেও। চোখে জল নিয়ে গর্বিত বাবা জড়িয়ে ধরেন ছেলেকে।
সরফরাজ ভারতের ৩১১ নম্বর টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার তাঁর টেস্ট ক্যাপ নম্বর ৩১১। তবে রাজকোটে টেস্ট অভিষেকের দিনে চর্চায় উঠে আসে সরফরাজের জার্সি নম্বর। সরফরাজ খান দেশের হয়ে মাঠে নামার আগে থেকেই ৯৭ নম্বর জার্স🍒ি পরে খেলেন। ভারতের টেস্ট জার্সি হাতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি। নিজের টেস্ট জার্সির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সরফরাজ। সঙ্গে নিজের জার্সি নম্বর ৯৭-এর দিকেও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সরফরাজের মতো তাঁর ভাই মুশির খানও ৯৭ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন। যুব বিশ্বকাপের আসরে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে আলো꧋চনায় মুশির জানিয়েছিলেন তাঁদের দুই ভাইয়ের ৯৭ নম্বর জার্সি পরে খেলার কারণ। আসলে সরফরাজ ও মুশির, তাঁদের পিতা নওশাদের নামের সঙ্গে মিল থাকায় নও-সাত (৯ ও ৭) নম্বর জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামেন। অর্থাৎ, নিজেদের নামের সঙ্গে পিতার নামকেও সঙ্গে নি🔯য়ে খেলতে নামেন তাঁরা। সরফরাজ প্রথমবার দেশের হয়ে মাঠে নামার সময়েও সেই ধারা বজায় রাখেন।
সরফরাজের পিতা পরে জিও সিনেমার আলোচনাতেও খোলসা করেন সেই রহস্য। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সরফরাজ খানের জন্ম ১৯৯৭ সালে। সেদিক থেকে ৯৭ নম্বর জার্সিতে লুকিয়ে রয়েছে 𝄹সরফরাজের জন্মের সালও।
সরফরাজের টেস্ট অভিষেকের দিনে রাজকোটের নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা ও স্ত্রী। নওশাদ জিও সিনেমার আলোচনা🐭য় জানান যে, ছেলের টেস্ট অভিষেক হবে জেনেও তিনি রাজকোটে আসতে চাননি। তবে সূর্যকুমার যাদব ফোন করে জোরাজুরি করেন এমন স্মরণীয় দিনের সাক্ষী থাকার জন্য। সূর্যকুমারের ফোনের পরেই তিনি স্টেডিয়ামে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
টেস্ট অভিষেকের আগে সরফরাজ খানের ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ার:-
মুম্বইয়ের ২৬ বছর বয়সী মিডল অর্ডার ব্যাটার সরফরাজ খান টেস্ট অভিষেকের আগে ৪৫ট🌌ি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচের ৬৬টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬৯.৮৫ গড়ে ৩৯১২ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি ১৪টি শতরান ও ১১টি অর্ধশতরান করেছেন। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ৩০১ রানের। স্ট্রাইক-রেট✃ ৭০.৪৮।