ধৈর্য, কঠোর পর🗹িশ্রম, শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায়ের ফল হাতেনাতে পেলেন বাংলার পেসার আকাশ দীপ। শুক্রবার রাঁচিতে চতুর্থ টেস্টে জসপ্রীত বুমরাহের অনুপস্থিতিতে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট টেস্ট ক্যাপ তুলে দেয় আকাশ দীপের হাতে। আর জাতীয় দলে অভিষেকেই বাজিমাত করলেন বাংলার পেসার।
শুক্রবার রাঁচি টেস্টের প্রথম দিনই ইংল্♏যান্ডের টপ অর্ডারে দায়িত্ব নিয়ে ধস নামান আকাশ দীপ। ৭০ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের প্রথম তিন ব্যাটারকেই তিনি সাজঘরে পাঠিয়েছেন। জ্যাক ক্রলি (৪২ বলে ৪২), বেন ডাকেট (২১ বলে ১১) এবং অলি পোপের (২ বলে ০) উইকেট নেন আকাশ দীপ।
প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর আকাশ দীপ বলেন, ‘(অভিষেক ম্যাচে) আমি নার্ভাস ছিলাম না। কোচদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাই খেলার আগে আমি টেনশনে ছিলাম না। আ🌜মি জানি না, এটা কী ভাবে হয়েছে (৩ উইকꦡেট নেওয়া), তবে আমি প্রতিটি খেলাকে আমার শেষ খেলা হিসেবে ধরি। এবং সেরাটা দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকি।’
তিনি তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব দিচ্ছেন জসপ্রীত বুমরাহকে। বুমরাহের টিপস মেনেই তাঁর এই সাফল্য, দাবি করেছেন আকাশ দীপ। তাঁর দাবি, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বুমরাহ ভাই আমাকে ল🍨েন্থে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে বলেছিল। আমি ঠিক তাই করেছি꧙।’
তবে এদিন আকাশ দীপ তাঁর প্রথম 🌠উইকেট পেয়ে যেতဣেন খুব তাড়াতাড়ি। তবে নো বলের জেরে তা হাতছাড়া হয়। ঘটনাটি ঘটে চতুর্থ ওভারে। স্ট্রাইকে ছিলেন ওপেনার জ্যাক ক্রলি। তাঁকে বোল্ড করার পরেই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন আকাশ। কিন্তু পরক্ষণেই সেই আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। কারণ আম্পায়ার ইশারা দেন নো বলের। ম্যাচের শেষে আকাশ বলেন, ‘আমার খারাপ লেগেছিল (নো-বল হওয়ায়)। আমি শুধু ভাবছিলাম, আমার ভুলের (নো-বল করা) জন্য দল যেন না সমস্যায় পড়ে (ক্রলি ভালো ব্যাটিং করছিলেন, যদিও আকাশের বলেই তিনি পরে আউট হন)।’
শুরুটা ভারতের বোলাররা ভালো করলেও, দিনের শেষে জো রুটের ১০৬ রানের হাত ধরে ইংল্যান্ড প্রথম দিনের শেষে ৭ উইকেটে ৩০২ রান করে ফেলেছে। আকাশ দীপ বলছিলেন, ‘প্রথম দিকে উইকেট থেকে কিছুটা সাহা𝕴য্য পেয়েছিলাম, 🗹কিন্তু বল পরে সফ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং উইকেটও ছিল মন্থর। আমরা চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব সঠিক জায়গায় বোলিং করতে।’