ಞ ব্যর্থ হলে হয়তো খুব বেশি চর্চা হতো না। তবে কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে টি-২০ অভিষেকেই বল হাতে চমক দেখান হর্ষিত রানা। নাইট তারকা ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিতেই জোর বিতর্ক ক্রিকেটমহলে। ক্যাপ্টেন জোস বাটলার-সহ ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা তো বটেই, ওদেশের প্রাক্তনীরাও চটে লাল। এমনকি ভারতের কয়েকজন প্রাক্তন তারকাও শিবম দুবের লাইক-টু-লাইক পরিবর্ত হিসেবে হর্ষিত রানাকে মেনে নিতে পারেননি।
෴তবে ভারতীয় দল এক্ষেত্রে গা বাঁচাতে পারে ম্যাচ রেফারির উপর দায় চাপিয়ে। কেননা এক্ষেত্রে ভারতীয় শিবির কেবলমাত্র ম্যাচ রেফারির কাছে নাম প্রস্তাব করতে পারে। সিলমোহর দেওয়ার অধিকার একমাত্র ম্যাচ রেফারিরই রয়েছে। তবে এটাও প্রশ্ন উঠতে পারে, রমনদীপ সিং থাকতে ভারতীয় শিবির কেন দুবের লাইক-টু-লাইক পরিবর্ত হিসেবে হর্ষিতকে বাছল।
🐻ম্যাচের শেষে ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন জোস বাটলার স্পষ্ট জানান যে, তিনি কোনওভাবেই হর্ষিতকে শিবম দুবের কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে মানতে পারছেন না। কেভিন পিটারসেন, নিক নাইটরাও স্পষ্ট দাবি করেন যে, শিবম দুবে মোটেও যথাযথ ফাস্ট বোলার নন, তবে হর্ষিত রানা বিশেষজ্ঞ পেসার। তাই দু'জন কোনওভাবেই এক সারির ক্রিকেটার হতে পারেন না।
🧸পিটারসেনদের দাবি এক্ষেত্রে অমূলক নয়। কেননা শিবম দুবে ভারতের হয়ে শেষ ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে বল করেছেন ৪টি ম্যাচে। তাও মোটে ১টি ম্যাচেই ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করেন তিনি। তাছাড়া হর্ষিত রানা টি-২০ অভিষেকেই দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করেন। দুবে এত জোরে বল করেন না মোটেও। সুতরাং, বিষয়টি কনকাশন পরিবর্তের থেকেও বেশি আইপিএলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের মতো দেখায়।
ম্যাচ রেফারির ঘাড়ে দায় চাপালেন মর্কেল
😼বিতর্কে জল ঢালতে ভারতের বোলিং কোচ অবশ্য বল ঠেলে দেন ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথের কোর্টে। তিনি বলেন, ‘শিবম ইনিংসের বিরতিতে মাঠে নামে। তবে ওর মাথা ঝিমঝিম করছিল। যথাযথ পরিবর্তের জন্য আমরা ম্যাচ রেফারির কাছে নাম পাঠাই। বাকিটা ম্যাচ রেফারির হাতে ছিল। সিদ্ধান্তটা তাঁরই। ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত জানার সময় রানা ডিনার করছিল। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওকে প্রস্তুত হতে বলি। সুতরাং, আমাদের হাতে কিছুই ছিল না। ম্যাচ রেফারিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হতো। আমরা শুধু নিজেদের পছন্দ মতো নাম পাঠাতে পারি। অনুমোদন করা না করা ম্যাচ রেফারির হাতে।’