লড়াই ছিল সরফরাজ খান ও রজত পতিদারের মধ্যে। শেষমেশ শিকে ছেঁড়ে পতিদারের ভাগ্যে। আপাতত রিজার্ভ বেঞ্চেই ঠাঁই হয় স🐠রফর꧃াজের। বিশাখাপত্তনমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সরফরাজকে টপকে ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয় রজতের।
ঘরোয়া ক্রিকেটে রজত ও সরফরাজ, উভয়েই অত্যন্ত ধারাবাহিক। দু'জনেই এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে রয়ে🉐ছেন। রজত তুলনায় অভিজ্ঞ হলেও সরফরাজের ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ার আরও বেশি চমকপ্রদ। ব্য়াটিং অর্ডারে প্রয়োজন অনুযায়ী সরফরাজ ভারতীয় দলে মানানসই হতে পারতেন। যদিও ভাইজ্যাগে টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রাখে পতিদারের উপরেই।
কীভাবে স্কোয়াডে জায়গা পান রজত-সরফরাজ:-
রজত পতিদার ও সরফরাজ খান, উভয়েই প্রাথমিকভাবে 🔴ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ প্রথম ২টি টেস্টের ভারতীয় স্কোয়াডে ছিলেন না। বরং দুই ক্রিকেটার ভারতীয়-এ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্ট সিরিজে ব্যস্ত ছিলেন। তবে বিরাট কোহলি প্রথম ২টি টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় পতিদারকে ভারতীয় দলে ঢুকিয়ে দেন জাতীয় নির্বাচকরা।
অন্যদিকে প্রথম টেস্টে চোট পেয়ে লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা দ্বিতীয় টেস্ট থ🔥েকে ছিটকে যাওয়ায় ওয়াশিংটন সুন্দর ও সৌরভ কুমཧারের সঙ্গে সরফরাজ খানকে ভাইজ্যাগ টেস্টের স্কোয়াডে জায়গা করে দেন অজিত আগরকররা।
রজত পতিদার ও সরফরাজের ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ার:-
রজত পতিদার- মধ্যপ্রদেশের ৩০ বছর বয়সী টপ-মিডল অর্ডার ব্যাটার রজত পতিদার টেস্ট অভিষেকের আগে পর্যন্ত ৫৫টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচের ৯৩টি ইনিংসে ব্যাট করে ৪৫.৯৭ গড়ে ৪০০০ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি ১২টি সেঞ্চুরি ও ২২টি হাফ-সেঞ্চুরি 🐼করেছেন। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ১৯৬ রানের। স্ট্রাইক-রেট ৫৩.৪৮।✃
সরফরাজ খান- মুম্বইয়ের ২৬ বছর বয়সী মিডল অর্ডার ব্যাটার সরফরাজ খান ৪৫টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচের ৬৬টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬৯.৮৫ গড়ে ৩৯১২ রান ꦿসংগ্রহ করেছেন। তিনি ১৪টি শতরান ও ১১টি অর্ধশতরান করেছেন। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ৩০১ রানের। স্ট্রাইক-রেট ৭০.৪৮।
সরফরাজকে টপকে কেন মাঠে নামার সুযোগ পেলেন রজত:-
রজত পতিদার মধ্যপ্রদেশের হয়ে সচরাচর চার নম্বরে ব্যাট করেন। তিনি সম্প্রতি ভারতীয়-এ দলের হয়েꦛ ওপেন করে এবং তিন নম্বরে ব্যাট করে চমকপ্রদ꧂ পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন। অন্যদিকে সরফরাজকে বিশেষজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার বলা যায়। রজ্যদলের হয়েই হোক অথবা ভারতীয়-এ দলের হয়ে, চার নম্বর অথবা তারও নীচে ব্যাট করে বিস্তর সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
রোহিত, যশস্বী, গিল, শ্রেয়সের মতো টপ-অর্ডার ব্যাটার দলে থাকায় ভা𓆉ইজ্যাগে মিডল অর্ডারে নতুন কাউকে দরকার ছিল ভারতের। এই জায়গাতে সরফরাজের ব্যাটিং গড় ও স্ট্রাইক-রেট তুলনায় ভালো হওয়া সত্ত্বেও শিকে ছেঁড়েনি তাঁর ভাগ্যে। সম্ভবত পতিদার ক্রমাগত ব্যাটিং অর্ডার বদলেও সাফল্য পেয়েছেন বলেই সরফরাজকে টপকে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে যান তিনি। তাছাড়া রজত ইতিমধ্যেই জাতীয় দলের হয়ে ১টি ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন বেশ কিছুদিন। সেদিক থেকে সরফরাজ তুলনায় আন্তর্জাতিক আঙিনায় আনকোরা। আইপিএলের মতো বড় মঞ্চে চাপ সামলানোর দক্ষতাই এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখে পতিদারকে।