চলতি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের ব্যাটিং গভীরতার অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এই সিরিজে টিম ইন্ডিয়া পরীক্ষানিরীক্ষার পথে হেঁটেছিল। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে, সিনিয়রদের বিশ্রাম দিয়ে তারা জুনꦆিয়রদের খেলিয়ে দেখে নিতে চেয়েছিল ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। যার নিটফল, ২-৩ সিরিজ হারতে হল ভারতকে। আর সিরিজ হারের পর দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় স্বীকার কর🦄েছেন যে, ব্যাটিংয়ের গভীরতার অভাব ছিল।
ম্যাচের পরে সংবাদিক সম্মেলনে দ🌸্রাবিড় বলেছেন, ‘আমি মনে করি, স্কোয়াডে যে পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেটা কাজে আসেনি। তবে পাশাপাশি এটাও বলব, আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে, সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে ভাবতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে আমরা আরও ভালো করতে পারি, সেই জায়গাটা তৈরি করতে হবে। আমাদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা খুঁজে বের করাটাও একটা বড় বিষয়, যেটা আমরা স🍸মাধান করার চেষ্টা করছি। আমাদের বোলিং আক্রমণ ঠিক আছে। ব্যাটিংয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ গভীরতা আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: ১০.৬৭ গড়ে ৩ ইনিংসে মাত্র ৩২ রান- নেটপাড়ায়🀅 নির্লজ্জের মতো ট্রোলড হলেন সঞ্জু
সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলিতে ইদানীং বড় বড় স্কোর হܫচ্ছে। আপনি যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে তাকান, আলজারি জোসেফ ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেও মোটামুটি ভাবে কিন্তু মারতে পারে। অতএব ওদের সেই গভীরতাটা আছে। স্পষ্টতই সে🔯ই জায়গা থেকে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং আমাদের সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এই সিরিজ থেকে এটাই শিক্ষা যে, আমাদের ব্যাটিং গভীরতা তৈরি করতে হবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে খেলোয়াড়রা সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন। যশস্বী জয়সওয়াল টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করেন। এবং টি-টোয়েন্টিতেও ম্যাচজয়ী হাফ সেঞ্চুরি করেন। এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে বিকল্প হিসেবে ইতিমধ্যেই তিলক বর্মার কথা বলা হচ্ছে। এবং মুকেশ, বাংলার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর ধরে যে পরিশ্রম করেছেন, তার ফল পেয়েছেন। একই দলের বিরুদ্ধে পরপর তি𝄹ন সিরিজে ক্রিকেটে তিন ফর্ম্যাটেই জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে তাঁর। এবং তিনি ভালো বল করেছেন।
আরও পড়ুন: ছক্কা হাঁকাতে ওস্তাদ তিলক, রোহিতের রেকর্ড গুঁড়িয়ে෴ গড়꧂লেন নয়া নজির
দ্রা🌌বিড় বলছিলেন, ‘এই সিরিজে অভিষেক হওয়া তিন জনই নজর কেড়েছে। চতুর্থ খেলায় যশস্বী জাসিওয়াল খুব ভালো ইনিংস꧅ খেলেছে। ও আমাদের আগেই দেখিয়ে দিয়েছিল যে, আইপিএলে ও কী করতে পারে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রতিলিপি করতে দেখে ভালো লেগেছে। তিলক বর্মার মিডল অর্ডারে পারফরম্যান্স সত্যিই ভালো ছিল। ও মাঝে মাঝেই খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল। কিন্তু প্রতিবার ও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলে, খুব ইতিবাচকভাবে খেলেছে। পুরো সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করার পাশাপাশি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, ও এক বা দুই ওভার বোলিংও করতে পারে। মুকেশের আবার এই সিরিজের সব ফর্ম্যাটেই অভিষেক হয়েছে। ও নিজেকে সত্যিই ভালো ভাবে মেলে ধরার চেষ্টা করেছে। ডেথ ওভারে ওর বোলিং করার ক্ষমতা রয়েছে। কখনও কখনও তো ওকে কিছু শক্তিশালী হার্ড হিটারের বিরুদ্ধে বল করার জন্য ডাকা হয়েছিল এবং ও নিজেকে নিংড়ে দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, ওরা যত বেশি সুযোগ পাবে, তত ভালো হবে।’