🤪 দলীপ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিয়া এ দল। ম্যাচের আগে পর্যন্ত ইন্ডিয়া সি দল ছিল লিগ টেবিলের ওপরে। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে এই ম্যাচ জিততেই হত মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ইন্ডিয়া এ দলকে। প্রতিপক্ষ রুতুরাজ গায়েকওয়াড়ের ইন্ডিয়া সি দলও ছিল ভালো ফর্মে। তাঁদের দখলেও ছিল ৯ পয়েন্ট। কিন্তু ওস্তাদের মার শেষ রাতে। দলীপ ট্রফির তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের শেষ দিনে এসে রুতুরাজের দলকে পরাস্ত করে চ্যাম্পিয়ন হল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ইন্ডিয়া এ দল।
✤শুভমন গিল ভারত বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ম্যাচে যোগ দেওয়ার আগে ইন্ডিয়া এ দলের অধিনায়কত্ব করে গেছিলেন। সেই ম্যাচে অবশ্য জিততে পারেননি গিল,মায়াঙ্করা। হেরেছিলেন ইন্ডিয়া বি দলের বিরুদ্ধে। এরপর গত ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ারের দলের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ায় মায়াঙ্কের দল। তৃতীয় ম্যাচেও ব্যাটে বলে দুরন্ত পারফরমেন্স করেই ইন্ডিয়া সিকে হারিয়ে এবারের দলীপ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ইন্ডিয়া এ দল।
♈আরও পড়ুন-টেম্পারমেন্টে সমস্যা হচ্ছে, ওকে নিজের প্রতিভা বুঝতে হবে! KL-কে পরামর্শ শাস্ত্রীর…
🃏এবারের দলীপ ট্রফির একটা আলাদা গুরুত্ব ছিল কারণ ভারতীয় দলে খেলা তারকা ক্রিকেটারদের এই প্রতিযোগিতায় খেলা কার্যত বাধ্যতামুলক করে দিয়েছিল বিসিসিআই। ফলে লোকেশ রাহুল থেকে ঋষভ পন্ত, শুভমন গিল, সরফরাজ খান, সকলকেই দলীপে খেলতে হয়েছিল। আকাশদীপরাও খেলেছিলেন। প্রথম ম্যাচের পর গিল, রাহুলরা চলে গেছিলেন। সেই দলীপেই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হল তিলক বর্মা, রিয়ান পরাগদের ইন্ডিয়া এ দল।
🍸আরও পড়ুন-সামনে আরও ৯ টেস্ট! চেন্নাইতে জিতে রোহিত বললেন শুরুটা ভালোই হল…পন্ত-অশ্বিনে মুগ্ধ…
🧔দ্বিতীয় ইনিংসে ইন্ডিয়া এ দল তোলে ২৮৬ রান। ৮ উইকেটে এই রান তোলার পরই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ইনিংস ডিক্লিয়ার করে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। সিদ্ধান্তটা যে মোক্ষম ছিল তা প্রমাণ হয়ে যায় প্রসিধ কৃষ্ণাদের বোলিংয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে মায়াঙ্ক করেছিলেন ৩৪ রান, ৭৩ রান করেন রিয়ান পরাগ। প্রথম ইনিংসে শতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতরান করেন শাশ্বত রাওয়াত। করেন ৫৩। কুমার কুশাগ্র করেন ৪২ রান। রুতুরাজের দলের জয়ের জন্য টার্গেট ছিল ৩৫০ রান, কিন্তু প্রসিধ কৃষ্ণাদের দাপটে মাত্র ২১৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইন্ডিয়া সি দল।
💞৩৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়েকওয়াড় ৪৪ রান করেন। শতরান করেন মিডল অর্ডার ব্যাটার সাই সুদর্শন। কিন্তু তাঁদের পার্টনারশিপ ভাঙার পর আর কেউ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। ফ্লপ হন ইশান কিষান, করেন মাত্র ১৭ রান। ১১১ রানে শেষ পর্যন্ত তনুশ কোতিয়ানের বোলিংয়ে আউট হন সাই সুদর্শন। তিনটি করে উইকেট নেন প্রসিধ কৃষ্ণা এবং তনুশ কোতিয়ান। ১৩২ রানে জয়ের পর চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ওঠে ইন্ডিয়া এ দলের অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালের হাতে। ম্যাচের সেরা হন শাশ্বত রাওয়াত,সিরিজ সেরা হলেন বোলার অংশুল কাম্বোজ…