আইপিএলে আগামী মরসুমের আগে হওয়ার কথা মেগা অকশান অর্থাৎ জমজমাট নিলাম পর্ব। এমনিতে আগেই ঘোষণা করে হয়েছিল আগামী আইপিএলের আগে বড়সড় এক নিলাম হবে, যদিও অধিকাংশ ফ্র্যাঞ🤡্চাইজি তাঁর বিরোধিতা করে। অবশ্য কিংস ইলেভেন পঞ্জাবসহ অনেক দল চেয়েছে মেগা নিলাম হোক, যার ফলে খুব বেশি ক্রিকেটার দলগুলো রিটেন করতে পারবেনা।
গতমাসেই অর্থাৎ জুলাইয়ে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গেই বৈঠকে বসেছিল আইপিএল কমিটি। সেখানেই বিভিন্ন নিয়ম এবং নিলামের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের মতামত জানিয়ে দেয়। জোর জল্পনা রয়েছে, আগামী মরসুমের জন্য ৬জন করে ক্রিকেটার রিটেনশন করা যাবে। থাকছে আরটিএম, অর্থাৎ রাইট টু ম্যাচ কার্ডের সুযোগও। যদিও আইপিএলের এই নীতি নিয়ে একদমই সন্তুষ্ট নন ভারতীয় দলের তারকাಞ ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, সরাসরি সমালোচনা করেছেন আরটিএম নিয়মের।
ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার বেশ কয়েক বছর যাবত খেলছেন রাজস্থান রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। অশ্বিন মনে করছেন আইপিএলের আরটিএম নিয়মের জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন ক্রিকেটাররা। কারণ নিলাম খুব বেশিদুর এগোবে না, সর্বোচ্চ দামের থেকে কমেই ক্রিকেটারদের দলে ফেরাতে পারবে পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তꦑিনি।
অশ্বিনের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘আরটিএমের থেকে অন্যায্য নিয়ম হয় না। একজন ক্রিকেটার যদি ধরে নেওয়া যায় সানরাইজার্সের হয়ে খেলছে। তাঁকে পাওয়ার জন🥃্য শুরুতে বেস প্রাইসে ধরে নাও সানরাইজার্স একটা বিড করে দিল। এরপর মুম্বই আর কেকেআর সেই ক্রিকেটারের জন্য বিড করা শুরু করল। তাঁর সর্বোচ্চ দাম উঠল ৬ কোটি টাকা। দুই দলের মধ্যে কেউ তাকে নিতে গেল, তখন সানরাইজার্স বলে বসল এই ক্রিকেটারকে ওই দামেই ফিরিয়ে নেবে তাঁরা। এর ফলে যদি কেউ খুশি হয় তাহলে সেটা সানরাইজার্স। মুম্বই বা কেকেআর অথবা সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার, কারোরই খুশি হওয়ার কোনও কারণ নেই ’।
আরও পড়ুন-ক্যাসের রায়ের জের! পদক ফেরাতে হবে মার্কিন জিমনাস্টকে!🎐 ব্রোঞ্জ পাচ্ছেন অ্যানা…
এরপর আইপিএলের নিলামে আরটিএম নিয়মের ফলে ক্রিকেটারের আর্থিক ক্ষতির দিকটি তুলে ধরে অশ্বিন বলেন, ‘কোনও ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ দাম ৬ কোটি ওঠার পর তাঁকে যদি পুরনো দল ফিরিয়ে নেয়, তাহলে তো সেই ক্রিকেটার ন্যায্য দ𒈔াম পেল না। কারণ সরাসরি নিলাম হলে সেই ক্রিকেটারের দাম ৬ কোটির ওপরে উঠত। কারণ মুম্বই বা কেকেআরও বিড করত, পাল্টা সানরাইজার্সকেও বিড করতে হত। ফলে আইপিএলে যদি তিনটি করে রাইট টু ম্যাচ কার্ড দেওয়া হয়, তাহলে তো ক্রিকেটাররা বলতে গেলে খালি হাতেই ফিরবে। এই নিয়মটা একদম ভালো নয় ’।