একেবার টানটান উত্তেজনা! হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রবিবাসরীয় (৪ মে) ইডেন রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচের সাক্ষী থাকল। কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচটির উত্তেজনার পারদ ছিল শেষ বল পর্যন্ত। প্রথমে, কেকেআরের ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ২০৬ রানের বড় স্কোর করেন। এর পর রান রাজস্থান রয়্যালস রান তাড়া করতে নামলে, নাইটদের স্পিনার মইন আলি এবং বরুণ চক্রবর্তী ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেন।
তবে রাজস্থানের অধিনায়ক রিয়ান পরাগের আগ্রাসী মনোভাব, সেই ধাক্কা কাটিয়ে রাজস্থানকে জয়ের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। শিমরন হেতমায়েরকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ বলে ৯২ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করে রাজস্থানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন রিয়ান। কিন্তু ১৮তম ওভারে তিনি ৪৫ বলে ৯৫ করে সাজঘরে ফিরলে ফের ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। তবে শেষ ওভারে ২টি ছয়, একটি চার হাঁকিয়ে ম্যাচটিকে রোমাঞ্চকর করে তোলেন শুভম দুবে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নিষ মাত্র ১ রানে ম্যাচ হেরে যায় রাজস্থান।
ম্যাচটি শেষ করা উচিত ছিল
রাজস্থানের জয়ের জন্য শেষ বলে তিন রান দরকার ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। যার খেসারত রাজস্থানকে এক রানে ম্যাচ হেরে দিতে হয়। শেষ বলে এই হারের পর রীতিমতো ভেঙে পড়েন রিয়ান পরাগ। এমন কী তিনি ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারও দিতে রাজি হননি। তিনি বলে দিয়েছিলেন যে, কোনও সাক্ষাৎকার দিতে চান না।
তবে শেষমেশ ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলে নিজের হতাশা নিংড়ে দিয়ে রিয়ান পরাগ বলেন, ‘ওই পরিস্থিতিতে আমি আউট হয়ে যাওয়ায়, খুব খারাপ লাগছে। আমার এই ম্যাচটি শেষ করা উচিত ছিল। আমি শেষ ওভার পর্যন্ত থাকার পরিকল্পনা করছিলাম। ১৬ এবং ১৭তম ওভারে আমরা খুব বেশি রান পায়নি। আমার দিক থেকে ভুল হিসেব ছিল। আমার ম্যাচটা শেষ করা উচিত ছিল।’
বোলিং নিয়েও হতাশা প্রকাশ
বোলারদের সরাসরি দায়ী না করলেও, ঘুরি রিয়ান কিন্তু বলেছেন, ‘আমার মনে হয় শেষ ছয় ওভারে বোলিং করার সময় আমরা আরও ভালো বল করতে পারতাম। ওরা ১২০ বা ১৩০ রানে ছিল, আমাদের স্পিনাররা সেই সময়ে সত্যিই ভালো করেছে। তবে আমরা হয়তো ওদের রান কিছুটা আটকাতে পারতাম, খেলাটা আমাদের হাতেই ছিল। আমাদের ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: হয়তো পরের বছরও IPL খেলবে ও… ধোনির ছেলেবেলার কোচই এবার বড় দাবি করলেন শিষ্যের অবসর প্রসঙ্গে
রাসেলকে কৃতিত্ব
আন্দ্রে রাসেল যখন ইনিংসের শুরুতে ছিলেন, তখন আকাশ মাধওয়ালকে দিয়ে বোলিং করানো নিয়ে রিয়ান বলেছেন, ‘আমি পরপর বোলারদের বোলিং করতে চাইি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমরা হয়তো অন্য কিছু করতে পারতাম। রাসেলকে কৃতিত্ব দিতে হবে। কারণ তিনি ক্রিজে এসে প্রথম সময় নেন। রাসেল ১০ বলে ২ রান করেছিলেন এবং এর পর তিনি যেভাবে গতি বাড়িয়েছিলেন, তা দেখতে দারুণ ছিল। এটি এমন একটি মাঠ যেখানে ছক্কা মারা যায়। আমি জানতাম যে, এখানে টিকে থাকলে বাইন্ডারি মারব। তবে উইকেটটা একটু জটিল ছিল, তাই আমাদের কিছুটা লড়াই করতে হয়েছে।’
আরও ক্লিনিক্যাল হওয়া উচিত ছিল
রাজস্থানের অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, ম্যাচটা শেষ করতে পারতাম। আরও ক্লিনিক্যাল হতে হবে, আরও নিখুঁত হতে হবে, আর আমরা সেটা ছিলাম না, তাই ম্যাচ হারতে হয়েছে।’