পঞ্জাব কিংসের তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল চোটের কারণে আইপিএল ২০২৫ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে পঞ্জাব কিংস তাঁর বদলি ঘোষণা করেছে। অবাক করার বিষয় হল, পঞ্জাব কিংস এমন একজন খেলোয়াড়কে বেছে নিয়েছে, যিনি বর্তমানে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলছেন। অর্থাৎ এই খেলোয়াড় পিএসএলের মাঝপথেই দল ছেড়ে ভারতে আসছেন। এই খেলোয়াড় সাম্প্রতিক অতীতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তবে তিনি এখনও কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। কে এই প্লেয়ার?
আইপিএল খেলার জন্য পিএসএল-কে লাথি
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বদলি হিসেবে পঞ্জাব কিংস তাদের দলে অস্ট্রেলিয়ান আনক্যাপড অলরাউন্ডার মিচেল ওয়েনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। মিচেল ওয়েন বর্তমানে পাকিস্তান সুপার লিগে পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলছেন, বাবর আজমের নেতৃত্বে। কিন্তু এই খেলোয়াড় আইপিএল খেলার জন্য পাকিস্তানি লিগ মাঝপথে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা। চলতি মরশুমে পেশোয়ার জালমি ৭টি ম্যাচ খেলেছে এবং মিচেল ওয়েন এই সব ম্যাচেই প্লেয়িং একাদশের অংশ ছিলেন।
আরও পড়ুন: হয়তো পরের বছরও IPL খেলবে ও… ধোনির ছেলেবেলার কোচই এবার বড় দাবি করলেন শিষ্যের অবসর প্রসঙ্গে
২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার মিচেল ওয়েন এখনও পর্যন্ত ৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ২৫.৮৪ গড়ে ৬৪৬ রান করেছেন, যার মধ্যে ২টি সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়াও, বোলার হিসেবে তিনি ১০টি উইকেটও নিয়েছেন। পঞ্জাব কিংস তাদের দলে মিচেল ওয়েনকে অন্তর্ভুক্ত করতে ৩ কোটি টাকা খরচ করেছে। আইপিএলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মিচ ওয়েন ৩ কোটি টাকায় পিবিকেএস-এ যোগ দেবেন।’
আবার শোনা যাচ্ছে, পিএসএলের প্রতিশ্রুতি শেষ করার পরেই নাকি ওয়েন পঞ্জাব কিংসে যোগ দেবেন। জালমি ৯ মে তাদের শেষ লিগ পর্বের খেলা খেলবে। যদি তারা প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ১১ মে ধর্মশালায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ওয়েন পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে যোগ দেবেন। যদি জালমি যোগ্যতা অর্জন করে, তাহলে প্লে-অফের আগে ওয়েন কিংসদের জন্য উপলব্ধ থাকবেন না, যদি তারা এতদূর পৌঁছয়। এখন কথা হল, এমন প্লেয়ারকে কেন দলে নিল পঞ্জাব কিংস?
বিগ ব্যাশ লিগ ২০২৫-এর হিরো
এই বছর, অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিগ ব্যাশ লিগে হোবার্ট হ্যারিকেনস দল শিরোপা জেতে। তারা প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়। আর তাদের চ্যাম্পিয়ন করতে মিচেল ওয়েনের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। ফাইনালে, তিনি ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এবং ২৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৪২ বলে ১০৮ রান করে তাঁর দলকে ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। এই শতরানের ইনিংসে তিনি ১০টি ছক্কা এবং ৫টি চার মারেন। ফাইনাল ম্যাচে সিডনির দল ১৮৩ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, যা মিচেল ওয়েনের বিস্ফোরক ইনিংসের উপর ভিত্তি করে হোবার্ট মাত্র ১৪.১ ওভারে তাড়া করে জিতে নেয়। পুরো মরশুমে তিনি ১১টি ইনিংস খেলেছেন। ৪৫ গড়ে এবং ২০৩ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ৪৫২ রান করেছেন ওয়েন।