দীর্ঘদিন চোটর কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি আবার ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দিতে মাঠে নেমেছেন। তবে এর জন্য তাঁকে প্রায় ১০ মাস ২৩ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কিন্তু ফাস্ট বোলার দেখিয়েছেন যে তিনি আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিং করে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলতে প্রস্তুত। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ফাস্ট বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত তিনি। এই সময়ে, বুমরাহকে আরও দীর্ঘ 'রান-আপ' এবং দীর্ঘ 'ফলো থ্রু' (বল নিক্ষেপের পর বডি মুভমেন্ট) ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর কারণ হল চোটকে যাতে এড়িয়ে যাওয়া যায়। ভারতীয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করেন, বুমরাহকে খুব সাবধানে সামলাতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। যাইহোক, বুমরাহ তাঁর শরীর সম্পর🐓্কে আরও সচেতন হয়েছেন এবং আরও ভালো পরিচালনার সঙ্গে মাঠে ফিরে এসেছেন। তিনি ভবিষ্যতে তিনটি ফর্ম্যাটেই খেলা চালিয়ে যেতে পারেন তার জন্য নিজের খেলায় কিছু বদল করেছেন।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার ওভারে ২৪ রানে দুই উইকেট নেওয়ার পরে বুমরাহ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টে স্বস্তি দিয়েছে। বুমরাহ বেঙ্গালুরুর এনসিএ (ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি) তে পুনর্বাসন করেছেন এবং ‘খেলায় ফিরে আসার’ একটি কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। এনসিএ-র একজন কোচ গোপনীয়তার শর্তে 'পিটিআই'-কে বলেছেন, ‘আপনি যদি বুমরাহের ‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’ (শরীরের এক জায়গায় হাড়ের উপর চাপের কারণে ফ্র্যাকচার) আগে বুমরাহের বোলিং ভিডিয়ো দেখেন, আপনি যদি সেটিকে খুব কাছ থেকে ভালো ভাবে দেখেন, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। প্রথম ছয় থেকে সাত ধাপ দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে সপ্তম ধাপে বোলিং ক্র🌠িজের কাছে পৌঁছে বল ছুড়তেন বুমরাহ। তবে এখন সﷺেটাতে একটু পরিবর্তন এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেখা গেছে সে তার রান আপ দুই-তিন ধাপ বাড়িয়েছে। রান আপের সঙ্গে সঙ্গে তার ফলো-থ্রুও বেড়েছে। তিনি তার বোলিং অ্যাকশনে খুব বেশি পরিবর্তন করেননি তবে দীর্ঘমেয়াদী ইনজুরি থেকে নিজেকে রক্ষা করা𝓡র জন্য ছোটখাটো উন্নতি করেছেন।’ কেন বুমরাহকে তার রান আপ বাড়াতে হবে জানতে চাইলে কোচ বলেন, ‘বোলারদের গতি বাড়াতে এটা দরকার। বুমরাহ ছিলেন প্রথম ফাইটার প্লেনের মতো। শর্ট রানআপ থেকেও তার গতি পেতেন। তবে এটি তার কাঁধ এবং পিঠে অনেক চাপ ফেলেছিল। তার রান আপ থেকে তিনি কোন গতি পাননি, তাই তিনি ইনজুরিতে পড়তে বাধ্য।’ এনসিএ-র কোচ আরও বলেন, ‘ইনজুরি 🍷থেকে সেরে ওঠার পর আমার মনে হয় সে তার রান আপ দুই-তিন ধাপ বাড়িয়েছে। এটি তার ফলো-থ্রুও বাড়িয়েছে যাতে পিঠে কম চাপ থাকে। আমি মনে করি এটা তাকে ভবিষ্যতে ইনজুরির হাত থেকে বাঁচাবে।’