শুভব্রত মুখার্জি: রবিবার অর্থাৎ ৫ মে ছিল আইপিএলে 'সুপার সানডে'। ছিল 'ডাবল হেডার', যেখানে দ্বিতীয় ম্যাচে লখনউয়ের ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লখনউ সুপা🍸র জায়ান্টস। এই ম্যাচের আগে পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং তিনে ছিল সুপার জায়ান্টস। ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে নাইটরা। ৯৮ রানে সুপার জায়ান্টসদের হারিয়ে প্লে অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছে শ্রেয়স আইয়ারের দল। পাশাপাশি এদিন একানা স্টেডিয়ামে এক অনন্য নজ🦋ির গড়ে ফেলেছে নাইটরা। এতদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের টি২০ ফর্ম্যাট হোক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে হোক, প্রথম দল হিসেবে তারা একানাতে ২০০ রান করার নজির গড়েছেন।
কেকেআরের হয়ে এদিন দুর্দান্ত শুরু করে সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট জুটি। পাওয়ার প্লেতে নারিন, সল্ট বেধড়ক পিটুনি দেন বিপক্ষের বোলারদের। লখনউয়ের বোলিং অ্যাটাকে এদিন মায়াঙ্ক যাদবের অনুপস্থিতিতে বারবার সামনে আসছিল। অতিরিক্ত গতি যে ম্যাচের রং কতটা বদলাতে পারে, তা বারবার সামনে আসছিল। এমন আবহে প্রথম চার ওভারেই ৫০ রান পেরিয়ে যায় নাইটদের স্কো💯র। প্রথম উইকেটে ওঠে ৬১ রান। ৪.২ ওভারে আউট হয়ে যান সল্ট। মাত্র ১৪ বলে ৩২ রান করেন তিনি । তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি চার এবং একটি ছয়ে। সল্ট আউট হলেও, বোলারদের বেদম পিটুনি দেওয়া থামাননꦺি সুনীল নারিন। এদিন বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করেন ক্যারিবিয়ান তারকা অলরাউন্ডার।
দ্বিতীয় উইকেটে অংকৃষ রঘুবংশীকে সঙ্গী করে নারিন আরও ৭৯ রান যোগ করেন। ১২তম ওভারের শেষ বলে যখন নারিন আউট হলেন, তখন নাইটদের স্কোর পৌঁছে গিয়েছে ১৪০ রানে। সুনীল নারিন ৩৯ বলে ৮১ রানের একটি মারকাটারি ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬ টি চার এবং সাতটি ছয়ে। এছাড়াও এদিন রঘুবংশী করেছেন ৩২ রান। ১৫ বলে ২৩ রান করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। আর শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রমনদীপ সিং। মাত্র ৬ বল খেলে ২৫ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ১টি চার এবং তিনটি ছয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। শেষ দিকে তাঁর এই ঝোড়ো ইনিংস এবং শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে ভর করেই ২০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যায় নাইটরা। একানাতে প্রথম দল হিসেবে টি২০ ম্যাচে ২০০ বা তার বেশি রান করার নজির গড়ে নাইটরা। এদিন নাইট বাহিনীর করা ২৩৫ রানের জবাবে ১৩৭ রানেই থেমে যায় সুপার জায়ান্টসের ইনিংস। ফলে ৯৮ রানের বড় ব্যবধাꦑনে জয় পায় নাইটরা।