২০০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ধামাকাদার করেছিল পঞ্জাব কিংস, কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারল না। মায়াঙ্ক যাদব এবং মহসিন খানের দাপটে শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানেই শেষ হয়ে যায় পঞ্জাব কিংসের ই🍌নিংস। নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করলেও, পরপর দুই ম্য়াচে হেরে বেশ চাপে পড়ে গেলেন শিখর ধাওয়ানরা। এদিকে লখনউ সুপার জায়ান্টস হার দিয়ে শুরু করেছিল। তবে শনিবার ঘরের মাঠে তারা জয়ে ফিরল। পঞ্জাবকে ২১ রানে হারিয়ে বড় অক্সিজেন পেল লখনউ।
কেএল রাহুল এদিন পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দেননি। নিকোলাস পুরান অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে শুধু ব্যাটই করেন রাহুল। তবে ব্যাট হাতে এদিন তিনি নিরাশ করেছেন। ৯ বলে ১৫ করে ෴সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। তবে তিনি হতাশ করলেও, তাঁর দল কিন্তু নিরাশ করল না। দ্বিতীয় ইনিংসে ডাগআউটে বসে রাহুল দেখলেন, তাঁর🗹 দলের বোলারদের দাপট এবং পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়।
আরও পড়ুন: এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে T20 WC-এর জন্য ভারতের দ💞ল ঘোষণা করবে BCꩵCI- রিপোর্ট
টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। কুইন্টন ডি'কক এবং কেএল 🅘রাহুল ওপেন করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ করেননি। কিন্তু রাহুল দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। লখনউ সুপার জায়ান্টসের তখন সংগ্রহ ৩.৫ ওভা💖রে ৩৫ রান। আর্শদীপ সিংয়ের বলে বাজে শট খেলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। এর পর তিনে দেবদূত পাডিক্কাল নেমেও কিছু করতে পারেননি। ৬ বলে ৯ করে স্যাম কারানের বলে শিখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। তখন লখনউয়ের সংগ্রহ ৪৫ রান। এদিন ব্যর্থ হন মার্কাস স্টোইনিসও। তিনি ১২ বলে ১৯ করে রাহুল চাহারের বলে ক্লিন বোল্ড হন।
তবে ডি'ককের সঙ্গে ভরসা জোগান নিকোলাস পুরান। ৩৮ বলে ৫৪ করেন কুইন্টন ডি'কক। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ২টি ছক্কা, পাঁচটি চারে। আর্শদীপের বলে জিতেশ শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডি'কক। নিকোলাস পুরান ৩টি করে চার এবং ছক্কার হাত ধরে ২১ বলে ঝোড়ো ৪২ রান করেন। তাঁকে 𝐆বোল্ড করেন কাগিসো রাবাডা। তবে লখনউয়ের শেষ পাতে মিষ্টি দই যোগ করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। দুরন্ত ছন্দে ক্রুনা লখনউের ইনিংসকে ২০০-র কাছে পৌঁছে দেন। তিনিও ঝড় তোলেন। ২২ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৪টি চার এবং ২টি ছক্কায়। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যেই শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৯ রানে পৌঁছয় লখনউয়ের 🐻ইনিংস। পঞ্জাবের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্যাম কারান। ২ উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেন পঞ্জাবে෴র দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং জনি বেয়ারস্টো মিলে। প্রথম উইকেটেই তাঁরা ১০২ রান করে ফেলেন। তখন মনে হয়েছিল, কোনও ভাবেই বোধহয় হারানো যাবে না পঞ্জাবকে। ৩টি করে ছয় এবং চারের সৌজন্যে ২৯ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে যান বেয়াস্টো। আর এর পরেই ঘুরে যায় ম্যাচের রং। মায়াঙ্ক যাদব ১২তম ওভারে বল করতে এসে, এই জুটিকে ভাঙেন। মার্কাস স্টোইনিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। তবে বেয়ারস্টো আউট হয়ে গেলেও, হাল ধরে রেখেছিলেন শিখর ধাওয়ান। কিন্তু এর পর তাঁকে আর সঙ্গত করার মতো কাউকে পাচ্ছিলেন না পঞ্জাবের অধিনায়ক। ক্রিজে টিকতেই পারছিলেন না বাকিরা। ৭ বলে ১৯ করে আউট হন প্রভসিমরন সিং। তাঁকেও ফেরান মায়াঙ্ক যাদব। প্রভসিমরনের ক্যাচ ধরেন নবীন-উল-হক। জিতেশ শর্মাও মায়াঙ্কের বলেই নবীনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তাঁর সংগ্রহ ৯ বলে মাত্র ৬ রান।
এর পর শিখর ধাওয়ানকে ♒আউট করে পঞ্জাবকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন মহসিন খান। ৫০ বলে ৭০ করে ডি'ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শিখর। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা। শিখর আউট হওয়ার পরের বলেই গোল্ডেন ডাক করে সাজঘরে ফেরেন স্যাম কারান। মহসিনের বলে পুরানের হাতে ক্যাচ দেন কারান। ১৭তম ওভারে পরপর দুই উইকেট হারানোর পর পঞ্জাবের জয়ের আশাও তলানিতে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ২০ ওভারে পঞ্জাব কিংস ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে। ২১ রানে তারা ম্যাচটি হারে। লখনউয়ের হয়ে মায়াঙ্ক ৩ উইকেট এবং মহসিন ২ উইকেট নিয়েছেন।