আজব কাণ্ড বাংলাদেশ ক্রিকেটে। ফুলটস বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলেন ক্রিকেটার। শুধু ফুলটস বললে ভুল হবে, আসলে বলটি হাত থেকে স্লিপ করে বেরিয়ে গিয়েছিল ক্রিকেটার মেহেদি হাসান মিরাজের। হয়তো সেই বলটি ছেড়ে দিলে বাই রানও পেয়ে যেতে পারতেন ব্যাটসম্যান আসাদুল্লাহ আল গালিব। কারণ সেটি উইকেট♊কিপারের পক্ষেও ধরা মুশকিল হতো। তবে তিনি সেই বলে সুযোগ তোলার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হন আসাদুল্লাহ। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে (NCL)।
ঘটনাটি কী ঘটেছিল:
ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে (NCL) খেলা চলছিল সিলেট বনাম খুলনা ডিভিশনের। সেখানেই দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে খুলনার হয়ে বল করছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সিলেটের হয়ে ব্যাট করছিলেন আসাদুল্লাহ আল গালিব। ওভারের তৃতীয় বলটি করতে গিয়ে মেহেদির হাত থেকে গ্রিপ ফসকে বেরিয়ে যায়। তিনি নিজেও বুঝতে পারেন না বলটি কোথায় গেছে। ফুলটস বলটি লেগ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরের দিকে ছিল। সেই সময় ১১৫ রানে ব্যাট করছিলেন আসাদুল্লাহ আল গালিব। তিনি ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোর তালে ছিলেন। সেই জন্য ক্রিজ ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে চলে এসেছিলেন। কিন্তু আসাদুল্লাহ ব্যাটে বলে ভালো সম্পর্ক করতে ব্যর্থ হন। ক্যাচ দিয়ে বসেন শেখ পারভেজ জীবনের হাতে। ঘটনাটি নিয়ে হাসির রব উঠেছে নেট দুনিয়ায়। অনেকেই বলছেন, এরকম দৃশ্য শুধুমাত্র বাংলাদেশ ক্রিকেটেই দেখা সম্ভব।
ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ কী:
জাতীয় ক্রিকেট লিগ বা ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (NCL) হল বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৮টি ডিভিশনের মধ্যে ৭ ডিভিশন অংশ নিয়ে থাকে, এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন দলও অংশ নিয়ে থাকে। শুধুমাত্র ময়মনসিংহ ডিভিশন NCL-এ অংশ নেয় না। ১৯৯৯-২০০০ সালে এই প্রতিযোগিতা প্রথম শুরু হয়েছিল। কিন্তু তখন এটি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হিসেবে গণ্য হত꧑ো না। ২০০০ সালে বাংলাদেশ ICC-র সদস্য হয়, এরপর ২০০০-০১ থেকে এই প্রতিযোগিতা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এর আগে ৫০ ওভার এবং টি-২০ ফরম্যাটেও NCL অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দল হল খুলনা এবং ঢাকা ডিভিশন। দু’দলই ৭ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গত মরশুমের চ্যাম্পিয়ন ছিল ঢাকা ডিভিশন। এক কথায় এই প্রতিযোগিতা ভারতের রঞ্জি ট্রফি টুর্নামেন্টের মতো।