ঠিক যেন তীরে এসে তরী ডোবার মতো ব্যাপার। গোটা টুর্নামেন্ট ভালো খেলেও শেষ অবধি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ব্যাট হাতে বো🌊লারদের আক্রমণ করা থেকে শুরু করে বল হাতে বিপক্ষ দলের ব্যাটিং অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়া, সবকিছুই স্বাচ্ছন্দে করেছে 'মেন ইন ব্লু'। কিন্তু দুই বিভাগই দাগ কাটতে পারেনি🌳 ফাইনালে। সহজেই ম্যাচ এবং ট্রফি পকেটে তুলে নেয় অজিরা। ম্যাচ শেষে গোটা দলকে সান্ত্বনা দিতে ড্রেসিংরুমে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং হাত মেলান সব ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তবে সবচেয়ে বেশি মন ছুয়ে নেওয়ার দৃশ্যটি ছিল মহম্মদ শামিকে জড়িয়ে ধরা। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে শামি বলেন যে গোটা দল খাবার খাওয়ার মুডেও পর্যন্ত ছিল না। কিন্তু অবশেষে প্রধানমন্ত্রী এসে গোটা দলের সঙ্গে কথা বলেন এবং সান্তনা দেন।
সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ꦑউইকেট নেন তারকা পেসার মহম্মদ শামি। সাত ম্যাচ খেলে, তাঁর মোট সংগ্রহ ২৪টি উইকেট। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ফাইফার। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন বিপক্ষ দলের ব্যাটিং অর্ডারের। ‘আজ তক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামি বলেন, ফাইনাল হারের পর কারোর মন ভালো ছিল না। এমনকী কারোর খাবার খাওয়ার অবস্থাও ছিল না। কিন্তু সেই সময় ড্রেসিংরুমে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলের সকলকে সান্তনা দেন।
শামি বলেন, 'বিশ্বকাপ হারার পর সকলের মানসিক পরিস্থিতি যেমন হয়, আমাদেরও তাই ছিল। আমরা পুরোপুরি মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়ে ছিলাম। যেন মনে হচ্ছিল সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। যেন মনে হচ্ছিল আমাদের দুই মাসের পরিশ্রম পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দলের সকল ক্রিকেটারদের মনের🌌 অবস্থা ভালো ছিল না। পুরো দিনটাই আমাদের জন্য খারাপ যায়। কিন্তু সেই সময় হঠাৎ ড্রেসিংরুমে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উনি এಌসে আমাদের শান্তনা দেন এবং আমাদের সকলের সঙ্গে হাত মেলান এবং আমাকে জড়িয়ে ধরেন। উনি আসার আগে আমাদের কারোর খাওয়ার পরিস্থিতি ছিল না।'
শামি আরও জানান সেদিন কি বার্তা দ🍸েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'প্রথমে আমাদের কোনও কিছু জানানোই হয়নি এই সম্পর্কে। আমরা জানꦐতামই না যে প্রধানমন্ত্রী আসবেন। কিন্তু হঠাৎ উনি এসে আমাদের চমকে দেন। আমাদের সকলের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করি। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলি এবং একে অপরকে বোঝাই যে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আগে এগিয়ে যেতে হবে। সুতরাং উনি আশাতে আমাদের প্রচুর উপকার হয়েছে।'