২০১৩ সালের পর থেকে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। এই বিষয়ে তারা খুব বেশি ভাগ্যবান না হলেও, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ꦑক♔্ষেত্রে তারা কিন্তু একটি শক্তিশালী দল। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর থেকে, ভারত মোট ১৩টি হোম বা অ্যাওয়ে ওডিআই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মধ্যে একবার হেরেছে। তারা আটটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে। টেস্টের ক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিরুদ্ধে নিয়মিত জয়ের রেকর্ড করেছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরের মাঠে গিয়ে হারিয়ে এসেছে। তারা ইংল্যান্ডে একটি টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে। এই প্রসঙ্গে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞর মতে, ভারত সেই সিরিজটি জিততেন, যদি চূড়ান্ত টেস্ট স্থগিত না করা হত। এবং প্রথম টেস্টের শেষ দিনটি বৃষ্টিতে ভেস্তে না যেত।
বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, জসপ্রীত বুম🦩রাহ, অজিঙ্কা রাহানে এবং চেতেশ্বর পূজারা- ভারতকে এই সাফল্য এনে দিতে প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন, যেমন আগে এমএস ধোনি, সুরেশ রায়না এবং যুবরাজ সিংরা ছিলেন, তাঁরা তিন জন অবসর নিলে, বাকিরা সেই ধারা বজায় রাখেন। যাইহোক বর্তমান টিমে শিখর ধাওয়ান, চেতেশ্বর পূজারা এবং অজিঙ্কা রাহানেরা জায়গা পাচ্ছে না। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল থেকেও এঁরা বাদ পড়েছেন। তবে, কোহলি, রোহিত এবং বুমরাহরা টেস্ট সিরিজের দলে রয়েছেন। টেস্ট সিরিজের আগে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত।
সাদা বলের সিরিজে যাঁরা খেলবেন, তাদের গায়ে একেবারে নতুনের তকমা সেঁটে দেওয়াটা,🐠 কিছুটা ভুল হতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে, এই প্রথম বারের মতো সাদা-বলের দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠে প্রথম বার খেলতে নামবে। ফরম্যাট নির্বিশেষে যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় চ্যালেঞ্জ। আগের মতোই দক্ষিণ আফ্রিকা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে কিনা, সেটা নিয়ে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের আগে সন্দেহ থাকলেও, টুর্নামেন্টের পর আর সেই সন্দেহের অবকাশ নেই। তেম্বা বাভুমার দল ২০২৩ বিশ্বকাপে যে রকম পারফরম্যান্স করেছে, তাতে আর প্রোটিয়াদের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদ𒈔ের দলে বেশ কয়েক জন অভিজ্ঞ তারকা থাকলেও, ভারত সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তরুণ দলকে খেলিয়েছে। প্রোটিয়া সফরেও একই ছবি দেখা যাবে। শুভমন গিলই যেমন ভারতের টপ অর্ডারে সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকা হলেও, নিজে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলছেন। ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব নিজেই তাঁর ক্যারিয়ারে দক্ষিণ আফ্রিকায় মাত্র একটি ওডিআই খেলেছেন এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ প্রথম বার খেলবেন। দলের অন্যতম দক্ষ ফিন♉িশার হিসাবে রিঙ্কু সিং-ও প্রথম যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। মহম্মদ সিরাজ এবং কুলদীপ যাদবের হাত ধরে বোলিং লাইনআপে কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। কুলদীপ বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১৮ সালের সিরিজে ভারতের ৫-১ জয়ের অন্যতম একজন কারিগর ছিলেন। ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন কুলদীপ। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ভারত তাদের সবচেয়ে বড় তারকাদের যে খেলায়নি, সেটা কখনও মনে হয়নি। তবে এটাও ঠিক যে, অস্ট্✤রেলিয়া নিজেরাও তাদের বেশ কয়েক জন প্রধান খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপের সফল অভিযানের পর বিশ্রাম দিয়েছিল। কোহলি বা রোহিত পরের বছর টি-টোয়েন্টি ব﷽িশ্বকাপে খেলতে পারবে কিনা, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য যে ভারতীয় স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে, তার বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই কিন্তু পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ঢুকে পড়তে পারেন। এঁরা সকলেই আইপিএলে নিজেদের প্রমাণ করেছেন এবং ভারতের হয়ে ভালো খেলার সম্ভাবনা আছে। এই আসন্ন সফরটি যে তাঁদের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।