শেষ ওভারে বাকি ছিল ২৭ রান। সেখান থেকেই ম্যাচ জেতাতে হত মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কিন্তু বাস্তব দিক থেকে দেখඣলে, মহেন্দ্র সিং ধোনির পক্ষে এই ম্যাচ জেতা কখনই সম্ভব ছিল। কিন্তু তবুও সকলেরই আশা ভরসা ছিল ওই এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই। শেষ ওভারে যখন যশ ঠাকুর বোলিং করছিলেন, ত♉খনই সকলেই ভেবেছিলেন একা ধোনিই হয়ত ম্যাচটা জিতিয়ে দিতে পারবেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময় ধোনির পারফরমেন্স যে দেখেছে, সে বুঝতে পারবে যে এই ম্যাচ এভাবে শেষ ওভারে জেতানো সম্ভব নয়। টানা ধোনিকে নিয়ে সমꩲালোচনা হওয়ায় এদিন তিনি এসেছিলেন টপ অর্ডারেই। কিন্তু দলের ম্যানেজমেন্টকেও বুঝতে হত, যে এভাবে ধোনির ওপর সব চাপ ফেলে দিলে হল না। কারণ ২২০ রান চেজ করতে গেলে যে ধরণের ব্যাটিং ডেপথ লাগে,বা যে ধরণের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হয়, সেটা সিএসকের ব্যাটাররা পারেননি।
টার্গেট ছিল ২২০ রান, সেখানে সিএসকে আটকে গেল ২০১ র✤ানে। অর্থাৎ কোনও মতে ১০ করে রান রেট। কিন্তু এই পারফরমেন্সে কি সত্যিই জেতা সম্ভব? ধোনি বাদ দিলে ব্যাটিং অর্ডারের বাকি সব ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ২০০র অনেক কম। অধিকাংশ ব্যাটারই খেললেন ওই ১৫০ কাছাকাছি স্ট্রাইক রেট নিয়ে, সেখানে ধোনি করলেন ১২ বলে ২৭ রান, তাই তাঁর ব্যাটিং দেখে স্বাভাবিকভাবেই আশা দেখল সকলে।
কিন্তু ধোনি আউট হতেই চোখে জল চলে এল পঞ্জাবের মাঠে ধোনির🍬 খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের। মোহালিতে এদিন যশ ঠাকুরের ওভারের প্রথম বলেই শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে থাকা চাহালের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন ধোনি। এই বলটি মোটেই আউট হওয়ার মতো ছিল না। কিন্তু ফুল টস বল ঠিকঠাক প্লেসিং হল না, তাতেই মাহি আউট হলেন, যা দেখে স্বপ্নভঙ্গ হল ম্যাচ দেখতে আসা অনেক দর্শকের।
ধোনির আউটের পরই মোহালির স্টেডিয়ামে সিএসকের সমর্থকদের ছবি তুলে ধরছিলেন ক্যামেরাম্যান। তখনই দেখা যাচ্ছিল, কোনও মহিলা সমর্থকের চোখে জল। আবার কোনও কোনও মাহিভক্ত একান্তই মুখ গোমরা করে তাকিয়ে রয়েছেন, কারণ ততক্ষণে তাঁদের সব আশাই ম্যাচ জেতার শে⛦ষ হয়ে গিয়েছে ধোনির আউটের সঙ্গে সঙ্গেই।