এবছর ভারতের হয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মাতালেও মুশির খানের সিনিয়র ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে। সেবার টুর্নামেন্টে মুম্বইয়ের হয়ে ৩টি ম্যাচের ৫টি ইনিংসে ব্যাট করে মুশির সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ৯৬ রান। যুব বিশ্বকাপ থেকে ফিরে এবছর মুম্বইয়ের হয়ে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফি♔তে মাঠে নামেন সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথমবার ব্যꩲাট হাতে মাঠে নেমেই দলকে নির্ভরতা দিলেন সরফরাজ খানের ভাই।
গতবছর দাদা সরফরাজ রঞ্জি ট্রফিতে ৫৫৬ রান করে মুম্বইকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন কার্যত একার কাঁধে। এবার জাতীয় দলের আঙিনায় থাকায় রাজদ্যলের হয়ে রঞ্জি ট্রফির মোটে ১টি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পান তিনি। বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে সরফরাজের না থাকা নিশ্চিতভাবেই শক্তি কমিয়ে꧅ছে মুম্বইয়ের। তবে দাদার অভাব পূরণ করলেন ভাই মুশির।
বিকেসি গ্রাউন্ডে বরোদার বিরুদ্ধে চলতি রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশির খান। মূলত মুশিরের ব্যাটে ভর করেই মুম্বই লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয়। নাহলে পৃথ্বী শ, অজিঙ💞্কা রাহানের মতো তারকা ক্রিকেটাররা ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি প্রথম ইনি🔜ংসে।
মুশির ম্যাচের প্রথম দিনে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭৯ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। তিনি প্রথম দিনে নট-আউট ছিলেন ব্যক্তিগত ১২৮ রানে। তার প𒐪র থেকে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে মুশির ১২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬৪ বলে ১৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান। লাঞ্চের পরে তিনি দ্বিশতরানের গণ্ডি টপকান ১৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৫০ বলে।
সুতরাং, রঞ্জি ট্রফি তথা নিজের ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ারের প্রথম শতরানকে ডাবল সেঞ্চুরির রূপ দেন মুশির খান। শেষমেশ ১৮টি বাউন্ড꧃ারির সাহায্যে ৩৫৭ বলে ২০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশির। মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৮৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
মুশিরের ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়া মুম্বইয়ের হয়ে লড়াকু হাফ-ꦕসেঞ্চুরি করেন উইকেটকিপার হার্দিক তামোরে। তিনি ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। এছাড়া পৃথ্বী শ ৩৩, ভূপেন লালওয়ানি ১৯, অজিঙ্কা রাহানে ৩, শামস মুলানি ৬, সূর্যাংশ শেজ ২০, শার্দুল ঠাকুর ১৭, তনুষ কোটিয়ান ৭ ও মোহিত আবস্তি ২ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি তুষার দেশপান্ডে।
বরোদার ভার্গব ভট্ট ১১২ রানের বিনিময়ে ৭টি উই🐈কেট দখল করেন। ৮৬ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন নিনাদ। উইকেট ⛄পাননি মহেশ পিথিয়া।