ICC's Elite Panel of umpires: অবসরের ঘোষণা করলেন আইসিসি-র প্রাক্তন এলিট আম্পায়ার আলিম দার। পাকিস্তানের এই আম্পায়ার তিনবার 'ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট আম্পায়ার অফ দ্য ইয়ার' হয়েছেন। পাকিস্তানের ঘরোয়া মরশুমের পরে অর্থাৎ ২০২৪- ২০২৫ সালে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আলিম দার। তিনি ২০০৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (ICC) আম্পায়ারদের অভিজাত প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি বর্তমানে পাকিস্তানের এলিট প্যানেলে রয়েছেন এবং আইসিসি আন্তর্জাতিক প্যানেলে প꧟াকিস্তানের চার আম্পায়ারের মধ্যে রয়েছেন।
অবসর ঘোষণার পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আলিম দার-
আলিম দার নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তথ🏅্য দিতে গিয়ে বলেছেন, প্রতিটি চমৎকার যাত্রা অবশেষে শেষ হয়ে যায় এবং এখন সময় এসেছে আমার সামাজিক ও জনহিতকর কাজে পুরো𒐪পুরি মনোনিবেশ করার।
এখন আমি দাতব্য কাজে মনোনিবেশ করব
আলিম দার জানিয়েছিলেন, ‘প্রতিটি মহান যাত্রা অবশেষে শেষ হয়ে যায়। আমার এখন সামাজিক এবং জনহিতকর কাজে পুরোপুরি মনোনিবেশ করার সময় এসেছে। আম্পায়ারিংয়ে আমার জীব𒅌ন ছিল ২৫ বছরের। আমি এটি পুরোপুরি উপভোগ করেছি এবং বহু প্রজন্মের মহান খেলোয়াড়দের সঙ্গে জড়িত অনেক ঐতিহাসিক ম্যাচে আম্পায়ার করার সুযোগ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন… রোহিত শর্মার পরে কে হবেন ভারতীয় দলের আদর্শ ক্যাপ্টেꦰন? পাক প্রাক্তনীর বড় ভবিষ্যদ্বাণী
আগেই এলিট প্যানেল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন
৫৬ বছরের আলিম দার ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন কিন্তু আন্তর্জাতিক প্যানেলের অংশ হিসাবে এখনও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে দাঁড়ানোর যোগ্য ছিলেন। তিনি এই বছরের এপ্রিলে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ করেছিলেন। বর্তমানে পাকিস্তানের হোম সিজন ব্যস্ত থাকেন তিনি🦂। তিনি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ওডিআই ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করে যা তাত্ত্বিকভাবে দারের আন্তর্জাতিক খেলায় দাঁড়ানোর শেষ সুযোগের প্রতিনিধিত্ব করে। পাকিস্তান সুপার লিগ ২০২৫, যেখানে দার♈ নিয়মিত কর্মকর্তা ছিলেন, সম্ভবত এই বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি দারের শেষ খেলা হতে চলেছে।
কেমন ছিল আলিম দারের আম্পায়ারিং কেরিয়ার
আ✱লিম দার ১৯৮৬-৯৮ সাল থেকে ১৭টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ এবং ১৮টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলার পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদ-𓂃ই-আজম ট্রফিতে প্রথম-শ্রেণির আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক করেন। তিনি ১৪৫টি টেস্ট, ২৩১টি ওয়ানডে এবং ৭২টি টি-টোয়েন্টি এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন।
আরও পড়ুন… ৯ সেপ্টেম্বর কোথায় ছিলেন? ভিনেশ ফোগাটকে NADA-র নোটিশ! ১৪ দিনের মধ্যে দিতে হবꦬে জবাব
পাকিস্তানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন
৫৬ বছর বয়সি আলিম দার ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে পাকিস্তানে ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসেবে ১৭টি প্রথম-শ্রেণির 🎃ম্যাচ এবং ১৮টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেছেন। এরপর কেরিয়ার হিসেবে আম্পায়ারিংকে বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৯৮-৯৯ সালে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় তাঁর।
সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আলিম দার
অবসর ঘোষণার সময়ে আলিম দার তাঁর সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেছেন, ‘আমার সতীর্থ এবং সহকর্মীদের অটল সমর্থনে আম্পায়ারিংয়ে আমার প্রায়♏ সমস্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করার পরে, আমি মনে করি এটি সরে যাওয়ার সঠিক সময়। উদীয়মান আম্পায়ারদের উজ্জ্বল হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য এটাই সঠিক স𓂃ময়। আমি আশা করি তারাও ক্রিকেটের দুর্দান্ত খেলায় তাদের চিহ্ন রেখে যাওয়ার এবং গর্বের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার মতো সুযোগ পাবে।’