সেমিফাইনালে উঠলেই ভারতের ম্যাচ কেন গায়ানায় পড়বে? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে সেই দুটি প্রশ্ন নিয়ে একটি মহলে হইচই চলছে। কিন্তু এই প্রথমবার কোনও বিশ্বকাপে আগে থেকেই বাছাই নির্ধারণ করার ঘটনা ঘটল না। একইভাবে সেমিফাইনালে উঠলে কোন দল কোথায় খেলবে, সেটাও আগে থেকে ঠিক করে রাখার ঘটনা এই প্রথম ঘটল না বিশ্বকাপে। বরং ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ থেকেই সেই ঘটনা ঘটে আসছে। এমনকী কয়েক মাস পিছিয়ে গেলে গত অক্টোবর-নভেম্বরেই ঠিক ছিল যে পাকিস্তান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে খেলবে। এমনকী ভারতকেও মুম্বই ছেড়ে ইডেনে খেলতে আসতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। শেষপর্যন্ত পাকিস্🎉তান সেমিতে না ওঠায় ভারত মুম্ব🔯ইয়েই খেলেছিল।
নিউজিল্যান্ডেই কিউয়িদের সেমিফাইনাল
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে যে নিউজিল্যান্ড নিজেদের দেশে খেলবে, তা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।💮 এমনকী এরকম একটা তত্ত্বও আছে যে দেশের মাটিতে সেমিফাইনাল পাওয়ার জন্য গ্রুপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের ১০০ শতাংশ দেননি কিউয়ি খেলোয়াড়রা। কারণ সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হলে তখন নিজেদের দেশের মাটিতে খেলতে প😼ারত না। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেমিতে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়া। অকল্যান্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে খেলেছিল নিউজিল্যান্ড।
ঘরের মাঠেই নক-আউট ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের
২০১১ সালের বিশ্বকাপেও তিনটি আয়োজক দেশই (ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ) যে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠবে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে, সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছ🐠িল। আইসিসির তৎকালীন চিফ এক্সিকিউটিভ হারুন লর্গ্যাট বলেছিলেন, 'আমি নিশ্চিত করতে পারছি যে আয়োজক দেশগুলি নিজেদের ঘরে𒊎র মাঠে নক-আউট পর্বের ম্যাচ খেলবে।' সেইসঙ্গে আইসিসির তরফে জানানো হয়েছিল যে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বাছাইয়ের বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আগে এরকম ঘটেছে
শুধু একদিনের বিশ্বকাপ নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেরকম ঘটনা ঘটেছে। দু'বছর আগ💖ে যখন অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ হয়🥀েছিল, তখন আগে থেকেই ঠিক ছিল যে অজিরা সেমিফাইনালে উঠলে সিডনিতেই খেলবে। আর গ্রুপ ‘২’-র শীর্ষ স্থানাধিকারী দল এবং গ্রুপ ‘১’-র দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দল অ্যাডিলেডে খেলবে। যদিও শেষপর্যন্ত সেমিতে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়া।
যদিও সেই যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় একটি মহল। ওই মহলের বক্তব্য, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ হোক বা ২০১১ সালের বিশ্বকাপ হোক বা ২০২২ সালের বিশ্বকাপ হোক - প্রতিটি ক্ষেত্ꩲরেই আয়োজক দেশের জন্য সেটা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার তো ভারত আয়োজক দেশ নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা আমেরিকার যে সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটা কেন ভারত পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
সেই প্রশ্নেরও জবাব আছে। ২০২৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপে ঠিক ছিল যে পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠলে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে খেলবে। এমনকী সেমিফাইনালে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ হলেও রোহিতরা আয়োজক হিসেবে সুবিধা পেতেন না। বরং পাকিস্তানের কারণে তাঁদের ইডেꦇনে খেলতে হত। কারণ পাকিস্তান মুম্বইয়ে খেলতে চাইছিল না। একইভাবে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ঠিক হয়েছিল যে পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠলে নয়াদিল্লিতে খেলবে। সেটার ক্ষেত্রে অবশ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় যুক্ত ছিল। সেইসময় শিবসেনা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।