ঘরোয়া ক্রিকেটে অত্যন্ত ধারাবাহিক। ভারত🎀ীয়-এ দলের হয়ে নিয়মিত প্রতিনিধিত্ব করেন। নেতৃত্বও দেন বিসিসিআইয়ের প্রথমসারির ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। তবে 🍌এখনও জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি অভিমন্যু ঈশ্বরনের। বেশ কিছুদিন ধরেই টিম ইন্ডিয়ার দরজায় কড়া নাড়ছেন বাংলার তারকা ব্যাটার। তবে টেস্ট দলের টপ অর্ডারে ট্র্যাফিক জ্যামের জন্যই শেষমেশ চৌকাঠ পেরোনো সম্ভব হয়নি এখনও।
একাধিকবার রিজার꧟্ভ ক্রিকেটার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এমনকি টেস্ট স্কোয়াডেও মাথা গলিয়ে দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের তকমা জোটেনি অভিমন্যুর। তবে এবার দলীপ ট্রফি ও ইরানি কাপের মঞ্চে যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন ঈশ্বরন, তাতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে অন্ততপক্ষে ভারতীয় দলের রিজার্ভ ওপেনার হিসেবে ঈশ্বরনের নাম ভাবতে বাধ্য জাতীয় নির্বাচকরা।
দলীপ ট্রফির ২টি ম্যাচে পরপর ২টি সেঞ্চুরি করেন ঈশ্বরন। ইন্ডিয়া-বি দলকে নেতৃত্ব দিতে নেমে ইন্ডিয়া-সি দলের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৫৭ রানের লꦑড়াকু ইনিংস খেলেন অভিমন্যু। পরে ইন্ডিয়া-ডি দলের বিরুদ্ধে করেন ১১৬ রান। ঠিক তার পরেই মু𒆙ম্বইয়ের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট ভারতের হয়ে ইরানি কাপের ম্যাচে ১৯১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
পরপর ৩টি ম্যাচে সেঞ্চুরি কꦿরা ব্যাটারের ভাগ্যে কি এবার শিকে ছিঁড়বে জাতীয় দলের? অভিমন্যু নিজে কী ভাবছেন এই বিষয়ে, জানালেন হিন্দুস্তান টাইমসকে। বাংলার তারকা ব্যাটারের স্পষ্ট মত, নিজের কাজ করেছে চলেছেন। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা নির্বাচকদের হাতে।
ঈশ্বরন বলেন, ‘আমার কাজ হল রান করেꦓ যাওয়া। দলকে জেতাতে ক্রমাগত রান করাই আমার লক্ষ্য। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা আমার হাতে⛎ নেই। ওটা নির্বাচকদের কাজ। যদি সুযোগ আসে, তবে আমি নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’
এখনও জাতীয় দলে সুযোগ না এলেও নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে খুশি ঈশ্বরন। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত নিজের কেরিয়ার নিয়ে আমি খুশি। আমি ১০ বছর বয়সে দেরাদুন থেকে বাংলায় আস🃏ি। সিনিয়র দলে ঢোকার আগে সব বয়সভিত্তিক পর্যায়েই মাঠে নেমেছি। ভারতীয়-এ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াডেও জায়গা পেয়েছিলাম। টেকনিক আমার খেলার অন্যতম বড় হাতিয়ার। ছেলেবেলা থেকে টেকনিক নিয়ে বিস্তর পরিশ্রম করেছি।’
জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন বরাবরের। তবে আপাতত রঞ্জিকেই পাখির চোখ করছেন অভিমন্যু। তাঁর কথায়, ‘ভারতের হয়ে ꦦখেলা সব ক্রিকেটারের স্বপ্ন। আমি লক্ষ্যে পৌঁছতে অক্লান্তভাবে নিজের কাজ করে চলেছি। এই মাসে আমি রঞ্জি ট্রফিতে মনোসংযোগ করছি। দলের জয়ে অবদান রাখাই আমার উদ্দেশ্য। আমার প্রথম লক্ষ্য হল বাংলাকে নক-আউটের টিকিট এনে দেওয়া।’