ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে বলটা বেরোতেই ক্যাচ ধরার জন্য প্রাথমিকভাবে দৌড় শুরু করেন। কিছুটা পরেই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত 🎃শর্মা বুঝতে পারেন যে বলটা তাঁর দিকে আসছে না, সূর্যকুমার যাদবের দিকে যাচ্ছে। তারপরই বুঝতে পারেন যে বলটা সূর্যের দিকে গেলেও সম্ভবত তাঁর মাথার উপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পৌঁছে যাবে। আর সেই আশঙ্কায় মাথা ঝুঁকিয়ে হাঁটু ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন রোহিত। তখন তাঁর মনে কী প্রার্থনা চলছিল বা মনের মধ্যে ঠিক কী চলছিল, সেটা তিনি নিজেই বলতে পারবেন। কিন্তু বিশ্বকাপ হারের যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেইসবের মধ্যে সূর্য যে কাজটা করেন, সেটা ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে ঠাঁই পেয়ে গিয়েছে। অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেন। ওই ক্যাচটা দেখে সম্ভবত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক মহিলা চিৎকার করে লাফিয়ে ওঠেন। যিনি সম্ভবত স্থানীয় প্রশাসনের সদস্য বা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন।
এত ভাইরাল কেন হল ভিডিয়ো?
আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ওই ভিডিয়ো এতটা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, কারণ তাতে কয়েক মাইক্রোসেকেন্ডের মধ্যে এত আলাদা অনুভূতি ধ⭕রা পড়েছে। প্রথমে বলটা মিলার মারতে রোহিত ভেবেছিলেন যে ক্যাচ ধরবেন। তখন একটা আশা নিয়ে ছুটছিলেন।
তারপর যখন বুঝতে পারেন যে বলটা সম্ভবত বাউন্ডারি টপকে গিয়ে পড়বে অর্থাৎ ছক্কা হয়ে যাবে, তখন ꦆরোহিতের মানসিক꧟ অবস্থাটা কী হতে পারে, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। আর শেষপর্যন্ত যখন সূর্য ক্যাচটা ধরেন, তখন ভারতের আবেগটাই পালটে যায়। সেইসময় রোহিতকে ভিডিয়োয় দেখা না গেলেও ওই মহিলার উচ্ছ্বাসটা সুপারহিট হয়ে গিয়েছে। আর সূর্যকেও দেখা গিয়েছে উচ্ছ্বাস করতে।
ভারতীয় ইতিহাসে ঠাঁই পেয়ে গিয়েছে ক্রিকেটের
আর উচ্ছ্বাস তো করারই কথা। ওই ক্যাচটা যদি না ধরতেন সূর্য আর ছক্কা হয়ে যেত, তাহলে♕ কী হতে পারত, সেটা রোহিতের শারীরিক প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা গিয়েছে। ওটা ছক্কা হয়ে গেলে জয়ের জন্য পাঁচ বলে ১০ রান বাকি থাকত দক্ষিণ আফ্রিকার। আর মিলার ক্রিজে থাকা অবস্থায় সেই রানটা কোনও ব্যাপারই ছিল না।
সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর যে হ𓆏ৃদয়ভঙ্গ হয়েছিল, সেটা ২০২৪ সালের ২৯ জুনেও হত। আর তখন এই হাসিমুখের রোহিত, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহ, সূর্য, রাহুল দ্রাবিড়দের দেখা যেত না। আর এখন🐟 সাধারণ ফ্যানেদের মুখে যে হাসিটা লেগে আছে, সেটাও থাকত না ওটা ছক্কা হয়ে গেলে।