নাম না করে কি স্টিভ বাকনরকে কটাক্ষ করলেন সচিন তেন্ডুলকর? ভারতের প﷽্রাক্তন ক্রিকেট মহাতারকার টুইট দেখে এমনই মনে করছে নেটিজেনদের একাংশ। আসলে শনিবার বিকেলে তিনটি বড়-বড় গাছের সামনে ব্যাটিং করার মতো স্টান্সে দাঁড়িয়ে থাকার একটি ছবি পোস্ট করেন সচিন। আর ছবির ক্যাপশনে লেখেন, 'আপনি কি আন্দাজ করতে পারবেন যে কোন আম্পায়ার স্টাম্পকে এত বড় দেখতেন?' সঙ্গে একটি ভাবুকের মতো ইমোজিও দেন। আর সেই পোস্ট দেখেই মোটামুটি নেটিজেনদের সকলেরই মাথায় প্রথম যে নামটা এসেছে, সেটা হল বাকনরের। যাঁর একাধিক 'অভাবনীয়' ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছেন সচিন।
‘ভয়ংকর সিদ্ধান্ত', হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ধারাভাষ্যকরও
এক নেটিজেন সেরকমই বাকনরের একটা চরম ভুল সিদ্ধান্তের ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে গাব্বা টেস্টের প্রথম ইনিংসে জেসন꧙ গিলেসপির একটি বল সচিনের প্যাডে আছড়ে পড়েছিল। আউটের আবেদন করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ানরা। ধারাভাষ্যকাররা বলতে থাকেন যে বলটার বাউন্স অনেক বেশি। ফলে স্টাম্পে লাগবে না। কিন্তু তারইমধ্যে সচিনকে আউট (এলবিডব্লু) দিয়ে দিয়েছিলেন বাকনর।
তাতে সচিন তো হতবাক হয়েই গিয়েছিলেন, চমকে গিয়꧃েছিলেন ধারাভাষ্যকাররাও। টনি গ্রেগ ব🍷লতে থাকেন, ‘এটা একটা ভয়ংকর সিদ্ধান্ত। এটা একটা ভয়ংকর সিদ্ধান্ত।’ পরে রিভিউয়ে দেখা গিয়েছিল যে স্টাম্পের অনেক উপর দিয়ে বলটা উড়ে যাচ্ছে।
যদিও সচিন কোনও প্রতিবাদ করেননি। হতবাক হয়ে গিয়ে যেমন মুখ করে, সের𝓀কম করেছিলেন♓। তারপর ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিলেন। আর সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করে ওই নেটিজেন বলেছেন, ‘সবথেকে খারাপ আম্পায়র হলেন স্টিভ বাকনর।’
'স্টিভ বাকনর নামটা শুনলেই এখনও রক্ত গরম হয়ে যায়'
অপর এক নেটিজেন আবার বলেন, 'স্টিভ বাকনর...এই নামটা শুনলেই এখনও আমার রক্ত গরম হয়ে যায়।' এক নেটিজেন বলেꦬন, 'সচিন🔯 তেন্ডুলকরের গুগলি আর স্টিভ বাকনার ক্লিন বোল্ড হয়ে গেলেন।' একইসুরে অপর এক নেটিজেন কটাক্ষ করে বলেন, ‘নিজের বেস্টফ্রেন্ডের দিকে তোপ দাগছেন ক্রিকেটের ভগবান।’
📖 তবে শুধু নেটিজেনরা নন, সচিনের প্রশ্নের জবাবে বাকনরের নাম নিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। সচিনের পোস্ট করা ছবির প্রেক্ষিতে আকাশ লেখেন, ‘স্টিভ বাকনর। বিশেষত আপনি যখন ব্যাটিং করতেন, (তখন স্টাম্পকে এত বড় দেখতেন)।’ উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের গাব্বা টেস্টে সচিনকে যে ও🦹রকম ভুল আউট দেওয়া হয়েছিল, সেই ম্যাচে খেলেছিলেন আকাশও।
ইডেনে এরকম ভুলভাল সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন বাকনর
তবে সেটা মোটেও ব্যতিক্রমী ঘটনা ছিল না। বরং বাকনরের এরকম ভুলভাল সিদ্ধান্তের কারণে সচিনকে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হয়েছে একাধিকবার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে সচিনকে চরম ভুলভাল আউট দিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সচিনের ব্যাটের দূর দিয়ে গিয়েছিল বল। বোলার একটা হালকা আবেদন করা ছাড়া পাকিস্তানের কোনও ফিল্ডার আপিলটুকুও করেননি। কিন্তু আঙুল তুলে দিয়েছিলেন বাকনর। যিনি অবসরের পরবর্তীতে স্বীকার করেছিলেন যে নিজের ক🐼েরিয়ারে অনেক ভুল করেছিলেন।