গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারত ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। কিন্তু বিরাট কোহলিকে সেগুলির কোনওটিতেই খেলতে দেখা যায়নি। যদিও বিরাট বা বিসিসিআই কেউই এই নিয়ে কিছু বলেনি। মনে করা হচ্ছে, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কোহলিকে ভারꦑতের টি-টোয়েন্টি টিম থেকে আপাতত বাদ দেওয়া হয়েছে।
২০০৭ সালে সচিন তেন্ডুলকর এবং রাহুল দ্রাবিড়ের মতোই, কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে ওয়ানডে এবং টেস্টের জন্য বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। আর ভারত তাদের টি-টোয়েন্টি দলটিকে আরও তরুণ এবং নতুন মুখ নিয়ে তৈরি করতে চাইছে। শুভমন গিলের উত্থান, শ্রেয়স আইয়ারের আসন্ন প্রত্যাবর্তন এবং তিলক বর্মার মতো লড়াকু যুবকদের আগমন আরও ইঙ্গিত দেয় যে, ম্যানেজমেন্ট প্রবীণ🎀দের নিয়ে আটকে পড়ার বদলে, তরুণদের আরও বেশি তুলে আনতে চাইছে।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ভারতের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরাজয় অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ নিয়মিত প্লেয়ারদের অনুপস্থিতি এবং হার্দিক পান্ডিয়া ও সূর্যকুমার যাদবকে একমাত্র অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে দলে রাখার ফলে, ব্যাটিং ল♉াইনআপে গভীরতা একেবারে হ্রাস পায়। ঋষভ পন্ত, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো নিয়মিত ক্রিকেটাররা প্রত্যাবর্তন করলে হয়তো দৃশ্যপট পুরো পাল্টাতে পারে। তবে ভারতের টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে এখনও পর্যন্ত উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে পরের বছর জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে সেই উদ্বেগ বাড়ছে বৈকি।
২০০৭ সালে, যখন তেন্ডুলকর এবং দ্রাবিড়কে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তখব এমএস ধোনির নেতৃত্বে রবিন উথাপ্পা, গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং এবং রোহিত শর্মা মিলে সেই অভাব ঢেকে দিয়েছিল। তাঁরা তাঁদের পারফরম্যান্স দিয়ে সিনিয়রদের প্রত্যাবর্তনের জন্য কোনও জায়গাই রাখেননি। কিন্তু বর্তমান ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের গল্পটা সেরকম নয়। ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা থেকে গিয়েছ। যে 💮কারণে ভারতের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার জোর দিয়েছেন যে, কোহলির নিঃসন্দেহে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলের পরিকল্পনার অংশ হওয়া উচিত।
এক ইউট൩িউব চ্যানেলে বাঙ্গার বলেছেন, ‘১০০ শতাংশ কোহলির দলে থাকা উচিত। আগের বিশ্বকাপে ও কী করেছিল, সেটা দেখুন। একটি ছোট ভুল বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে✱। এখানেই আপনার এমন খেলোয়াড়দের প্রয়োজন, যারা এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। সেই সময়ে, আপনার স্ট্রাইক-রেট কী বা আপনি কী ভাবে ব্যাট করছেন, তা বিবেচ্য নয়। আইপিএল নয় এটা। একটি বড় খেলায় বড় ম্যাচের খেলোয়াড়ের প্রয়োজন এবং কোহলি সেটা দেখিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড🐼়ুন: শেষ দু'টি বিশ্বকাপে কোহলিকে চার෴েই খেলাতে চেয়েছিলাম- অন্দরমহলের কথা ফাঁস শাস্ত্রীর
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচে ৯৮.𓃲৬৬ গড়ে ২৯৬ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোহলির অপরাজিত ৮২ রানের মহাকাব্যিক নকটিকে ভুলবে না ক্রিকেট বিশ্ব। যে ইনিংসটি খেলে তিনি পরাজয়ের মুখ থেকে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। কোহলির স্ট্রাইক-রেট নিয়ে প্রশ্ন ওঠা সত্ত্বেও, বাঙ্গার মনে করেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলে💃র হাল ধরতে প্রাক্তন অধিনায়ককেই প্রয়োজন।
তিনি যোগ করেছেন, ‘ভারত বনাম পাকিস্তানের খেলাটির কথা মনে করুন। এমন কী ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের কথা ভাবুন। এটি কোহলি ধারাবাহিক ভাবে🔯ই করে চলেছে। প্রত্যেকেরই রান করার নিজস্ব স্টাইল আছে, এবং ছক্কা মারাটাও ম্যাচ জিততে বাধ্যতামূলক নয়। এমনটা হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে যেত। কোহলি এমন একজন খেলোয়াড়, যে ছক্কা না মেরে সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারে। চাপের মধ্যে ভারতকে ম্যাচ জেতাতে পারে।’