ইরানি কাপে দুরন্ত ছন্দে দেখা গেছে মুম্বই রঞ্জি দলের ক্রিকেটার সরফরাজ খানকে। জাতীয় দলের হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্কোয়াডে সুযোগ পেলেও🍷 একটি ম্যাচেও খেলা হয়নি তাঁর। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেই ফের নির্বাচকদের কাজ কঠিন করে দিলেন তিনি। একইসঙ্গে লোকেশ রাহুলের ঘাড়েও নিঃশ্বাস ফেলা শুরু করে দিলেন মুম্বইয়ের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন-‘T20তেও কেউ 🅷ওভাবে খেলে না, টেস্টে ভারত’…রোহিতের অধিনায়কত্বে মুগ্ধ অজি তারকা…
সোমবার কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারতীয় দল ছেড়ে দেওয়া হয় সরফরাজ খানকে। মঙ্গলবারই নেমে পড়েন দলের হয়ে অবশিষ্ট ভারতীয় একাদশের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে। আর মাঠে নেমেই ২২২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। সেই সুবাদে🔯ই দল পৌঁছায় বিশাল ৫৩৭ রানে। এই ম্যাচে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার জন্য সরফরাজ খানের ভাই মুশির খান খেলতে পারেননি, তাই দ্বিশতরান উৎসর্গ করছেন তিনি ভাইকেই।
আরও পড়ুন-দেশপ্রেম ভালো, তবে পরিবার আগে…T20 লিগে♈ খেলতে CSA-র কেন্দ্রীয় চুক্তি ফেরালেন তাবরেজ শামসি…
গত শনিবারই ইরানি কাপে খেলতে আসার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন মুশির খান। বাবা নওসাদেরও হাল্কা চোট লাগে। ইরানি কাপে দ্বিশতরানের পর ভাই খেলতে না পারায় মন খারাপ দাদার। সরফরাজ খান তাই বলছেন, ‘এই সপ্তাহটা আমার কাছে খুবই আবেগপূর্ণ। আমি বাড়িতেও কথা দিয়েছিলাম আর দলের সতীর্থদেরও বলেছিলাম, যদি সেট হয়ে যাই আমি ২০০ রান করব। একটা ১০০ আমার, আরেকটা ১০০ ভাইয়ের হয়ে। যদি মুশির খেলতে পারত তাহ☂লে বাবা আরও গর্বিত হত, কিন্তু ওর দুর্ঘটনায় যে চোট লেগেছে তাতে খেলতে পারল না ’।
আরও পড়ুন-খা💯রাপ পারফরমেন্সের শাস্তি? চার মাসের বেতন আটকে পাক ক্রিকেটারদের…শুরু নয়া বিতর্ক…
কবে মাঠে ফিরবেন ভাই মুশির? সরফরাজ খান জানাচ্ছেন, ‘ওর চোটের যা অবস্থা, তাতে দু-তিন মাস সময় লাগবে মাঠে ফিরতে। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে, এমনিতে ঠিক আছে। মুম্বই দলের প্রয়োজন ছিল আমার বড় রানের ইনিংস। আমি বড় রানের ইনিংস খেলতেও ভালোবাসি। তাই দলের কাজে লাগতে পেরে ভালোই লাগছে। বহুদিন পর আমাদের সামনে সুযোগ রয়েছে ইর🗹ানি কাপ জয়ের। আমি এর আগে ইরানি কাপে শতরান করেছিলাম, অবশিষ্ট ভারত একাদশের হয়ে। তবে এবার নিজের হোম টিমের হয়ে শতরান করে ভালোই লাগছে। কারণ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার বোলাররাও খেলছে ’।
আরও পড়ুন-অস্ট্রেলিয়া-দঃ আফ্রিক♚া বধের পর রশিদ খানের জীবনে নতুন কোচ…শুরু হল দ্বিতীয় 🔴ইনিংস…
প্রসঙ্গত তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে সুযোগ না পেলেও নিউজিল্যান্ড সিরিজে স্কোয়াডে থাকছেন ধরে নেওয়া যায়। প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুল যদি আবারও ব্য়র্থ হন, তাহলে সরফরাজ খানকে বসিয়ে রেখে রাহুলকে সুযোগ দেওয়ার কাজটাও কঠিন হবে রোহিত শর্মা,গৌতম গম্ভীরদের । বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে সরফরাজ খানের এই ইনিংসের পর। কারণ ব্যর্থ🎃 হওয়ার পরও যদি সিনিয়র ক্রিকেটারদের একের পর এক সুযোগ দেওয়া হতে থাকে, তাহলে তো ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্ব হ্রাস পাবে, একই সঙ্গে উঠতি ক্রিকেটাররাও উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন না নিজেদের।