ফের একবার বাংলা দলের মান বাঁচালেন শাহবাজ আহমেদ। শতরান করে দলকে লড়াই করার জায়গায় পৌঁছে দিলেন বাংলার এই তরুণ ক্রিকেটার। সোমবার রাজকোটে বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বাংলা এবং হরিয়ানা। টসে জ💖িতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় হরিয়ানা। বাংলাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে বেশ চাপে ফেলে দেয় হরিয়ানা। শুরুতেই বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা।
পরপর উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যেতে থাকে বঙ্গ ব্রিগেড। ঠিক সেখানꦍ থেকেই দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন শাহবাজ। দলকে নিয়ে একাই এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এই ম্যাচে একমাত্র শাহবাজই বড় রান করতে সক্ষম হন। ১১৮ বলে ১০০ রান করেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। এছাড়া সুদীপ এবং প্রদীপ্ত প্রামানিক ২১ রান করে যান। অভিষেক পোড়েল করেন ২৪ রান। নির্ধারিত ওভারে মাত্র ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলা।
তবে এই ম্যাচে বাংলার ব্যাটিং লাইনআপের ভরাডুবির পিছনে গুরুত্বপূর্ণ হাত রয়েছে যুজবেন্দ্র চাহালের। বল হাতে ৪ উইকেট নেন ভারতীয় দলের এই স্পিনার। আর তাতেই বেশ বিপাকে পড়ে যায় বাংলা। শুধুমাত্র শাহবাজের ব্যাটে করেই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয় 𒅌বঙ্গ ব্রিগেড। যদিও এই জয়ের জন্য এই রান একেবারেই কঠিন কিছু নয়। এখন এটাই দেখার সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে পারে কিনা🌃। তবে বাংলার এই ব্যাটিং ব্যর্থতা কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে বলা চলে।
বাংলার টপ অর্ডার ব্যাটাররা যদিও একটু রান করে যেতেন, তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতেই পারত। কিন্তু হরিয়ানার বোলারদের কাছে ব্যাকফুটে যেতে হয়। হরিয়ানার সুমিত কুমার শুরুতেই ২ উইকেট নিয়🍸ে বাংলাকে চাপে ফেলে দেন। পরে অবশ্য ম্যাচের হাল ধরেন চাহাল। একাই চার উইকেট নিয়ে বাংলার ব্যাটিং লাইনআপকে শেষ করে দেন। এছাড়াও এদিন ৭ ওভার বল করে ২ উইকেট নিয়েছেন রাহুল তেওয়াটিয়া। একটি উইকেট নিয়েছেন নিশান্ত সিন্ধু। হরিয়ানাকে জিততে হলে প্রয়োজন ২২৬ রান। এখন দেখার বিষয়, বাংলার বোলাররা ২২৬ রানের মধ্যে হরিয়ানাকে আটকে রাখতে পারেন কিনা। তবে বঙ্গ ব্রিগেড যে একেবারেই ছেড়ে দেবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।